কলকাতা : অশান্ত এই বাংলাদেশে সোমবার যাচ্ছেন ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি। আর দু'দেশের বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠকের আগেই রবিবার ভারত-বিদ্বেষের সুর আরও চড়াল বাংলাদেশ। কলকাতা ও ত্রিপুরায় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিক্ষোভের প্রতিবাদে ঢাকায় এদিন ভারতীয় হাইকমিশন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিএনপি-র তিন সংগঠন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। নয়া পল্টনে এদিন জমায়েত হয় BNP-র সদস্যরা। সেখান থেকে ভারতীয় হাইকমিশনের দিকে এগোতে শুরু করে মিছিল। তার আগেই উস্কানিমূলক মন্তব্য় করেন বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব।
আগে সরাসরি এবিপি আনন্দ-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-র নাম করে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। আর এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে ভারতের তিন রাজ্য বাংলা, বিহার , ওড়িশা দাবি করে বসলেন তিনি ! বললেন, 'আমরা একেবারে নিরাবলম্বন নই, অবলম্বনহীন নই। আমরা বাংলাদেশের মানুষ আমরাও সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করতে জানি। আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য আকাশ-পাতাল-ভূমি-বারি প্রত্যেকটি জায়গায় আমাদের যে শক্তি, আমাদের যে সশস্ত্র বাহিনী, আইনসঙ্গত বাহিনীর যে শক্তি, সে শক্তিও কিন্তু কম নয়। ১৮ কোটির দেশের বন্ধুরা আমার, আমরা প্রত্যেকটি দিক থেকে এই দিল্লির আগ্রাসনকে প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছি।'
তিনি আরও বলেন, ‘ তোমরা (পড়ুন, ভারত) যদি ওটা দাবি করতে পারো, তাহলে আমরাও দাবি করব, আমাদের নবান্ন সিরাজদৌল্লার বাংলা, বিহার, ওড়িশা ফেরত দাও আমাদের। আমাদের ওটা ফেরত দিতে হবে।'
এতদিন ভারত থেকে আলু-পেঁয়াজ আমদানি করলেও, সম্প্রতি জার্মানি, স্পেন, পাকিস্তান, তুরস্ক থেকে সেগুলি আমদানি করা যায় কিনা, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এরকম একের পর এক ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে কমেছে উষ্ণতা ! এই অবস্থায় সোমবার বসছে দুই দেশের বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, এবার কি বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দেবে ভারত? উত্তর দেবে সময়।
আরও পড়ুন :
'বর্ষবরণের রাতে আতসবাজিতে না', বাংলাদেশে এবার উৎসব পালনেও তালিবানি ফতোয়া?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।