Continues below advertisement


ঢাকা : ঘরে - বাইরে প্রবল চাপের মুখে পড়ে নাকি কুর্সি ছাড়তে চেয়েছিলেন মহম্মদ ইউনূস। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সব হার্ডল সামলে এখনও পর্যন্ত  বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদেই নোবেলজয়ী। কিন্তু তার সিংহাসনে যে এখন কাঁটার কুশন, তা বুঝতে আর কারণ বাকি নেই। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে কার্যত ডেডলাইন বেঁধে দেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছে খালেদা জিয়ার বিএনপি-ও। এবার দেশের বাইরে থেকেই ইউনূসের রক্তচাপ বাড়ালেন খালেদা-পুত্র। আবারও দিলেন হুঁশিয়ারি। বুঝিয়ে দিলেন, ইউনূসে আর আস্থা নেই তাদের। তারেক রহমানের এই কথাতেই স্পষ্ট সেই ইঙ্গিত 'সংস্কার নিয়ে সময়ক্ষেপণের আড়ালে কারো কারো ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে'। 


বাংলাদেশে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ শীর্ষক সভায় ভার্চুয়াল বক্তৃতা দেন তারেক। স্লোগান তোলেন ‘দিল্লি নয়, পিন্ডি নয়, নয় অন্য কোনো দেশ... সবার আগে বাংলাদেশ’। আবারও একবার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করার সময় বেঁধে দিয়ে তারেক বলেন, ক্ষমতায় না থাকলেও খালেদা জিয়ার বিএনপি বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নের কথাই সব সময় চিন্তা করে। বিএনপি নির্বাচিত হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কাজ করবে। তখনই তিনি সকলকে বলেন , এই স্লোগান শুনতে ও তার সঙ্গে ধ্বনি দিতে।' দিল্লি নয়, পিণ্ডি নয়, বাংলাদেশ সবকিছুর আগে' । তার স্লোগানে গলা মেলায় সকলে।


গতবছর অগাস্টে দায়িত্ব নিয়ে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার কোনটাই রাখতে পারেননি তিনি। নির্বাচনের কোনও দিশা নেই। আশানুরূপ সংস্কার হয়নি।  আর কথার খেলাপ করে এখন প্রবল চাপের মুখে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। অন্যদিকে ইউনূস রোহিঙ্গা করিডোরের অনুমতি দিতে চান এবং চট্টগ্রাম বন্দরও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করার মতো সিদ্ধান্ত নিতে চান। তার বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলি। তারেক রহমান ইউনূস সরকারের উপর আক্রমণেস সুর তীব্র করে এদিন বলেন, যদি তিনি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের দীর্ঘমেয়াদী নীতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান, তাহলে তাকে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনে লড়াই করতে হবে। ইউনূসের উপর চাপ বাড়িয়ে তিনি বলেন, ' এই বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসে সফলভাবে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করেছে। আজ আমরা দেখছি, ১০ মাস পেরোলেও অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করছে না। আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই।'