নয়াদিল্লি: 'বয়েজ লকার রুম', কয়েকদিন আগেও এই গ্রুপের নামও জানত না কেউ। এখন এই গ্রুপ এক কথায় কুখ্যাত।  ইনস্টাগ্রামের বেশ কিছুদিন ধরেই  রমরমিয়ে চলছে এই গ্রুপের আলাপ আলোচনা। কিন্তু আলোচ্য বিষয়বস্তু শুনলে কপালে চোখ উঠবেই।
মেয়েদের গণধর্ষণ করার উপায় ও পদ্ধতি নিয়েই চর্চা চলে গ্রুপে। রেপ-কালচার নিয়ে জমাটি আলোচনা হয় গ্রুপে। সম্প্রতি একটি মেয়ে ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ফাঁস করে দেয় এই গ্রুপের কার্যকলাপ। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম 'বয়েজ লকার রুম' নিয়ে। এইরকম একটি গ্রুপের সন্ধান পেয়ে তৎপর হয়েছে পুলিশ। গ্রুপের বেশিরভাগ সদস্যই টিনএজার। আছে স্কুল ছাত্ররাও। মেয়েদের গণধর্ষণ করা নিয়ে নানাবিধ আলোচনা করে তারা অবিরত।
দিল্লি পুলিশ সাইবার ক্রাইম শাখা জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় এই গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গ্রুপের বিভিন্ন কীর্তিকলাপ ফাঁস হয়েছে। তাদের চ্যাটের একটি স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, তারা সেইসব মহিলাদের ছবি বিকৃত করে পোস্ট করতে চায়, যারা তাদের অপকর্ম ফাঁস করেছে। দিল্লি মহিলা কমিশনের তরফেও গ্রুপটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে দিল্লি পুলিশের কাছে। ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষকেও চিঠি দিয়েছে মহিলা কমিশন।




সূত্রের খবর এই গ্রুপে রয়েছে স্কুলে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বহু ছাত্র, যারা যথেষ্ট টেক স্যাভি। এই ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলেছে, নারী সুরক্ষা ও মহিলাদের প্রতি পড়াশুনা জানা ছেলেদের মনোভাব নিয়ে। 
সূত্রের খবর,  দিল্লির এক নামী স্কুলের ছাত্রকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল তার মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে তদন্ত চালাচ্ছে। তাকে জেরা করে ওই গ্রুপের আরও কয়েকজনকে  চিহ্নিত করেছে পুলিশ।