জয়পুর: ভারত সরকার লকডাউন ঘোষণার ২ দিন আগে থেকেই রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করে রাজস্থান সরকার। ২২ মার্চ থেকে রাজস্থানে চলছে লকডাউন। এর জেরে সে-রাজ্যে আটকে বহু পরিযায়ী শ্রমিক। রাজ্যের অন্য জায়গা থেকে কিংবা ভিনরাজ্য থেকে আসা শ্রমিকরা আটকে পড়েন অনেক জায়গায়।  বিভিন্ন সরকারি স্কুলে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় সরকারের তরফে।
কিন্তু কাজ বন্ধ, বাড়ি থেকে দূরে থেকে অস্থির হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা। এমন পরিস্থিতিতে তাঁদের ব্যস্ত রাখতে অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয় স্কুলের মাস্টারমশাইদের তরফে।
লকডাউনে স্কুলের ক্লাস বন্ধ। কিন্তু শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের। কায়িক পরিশ্রম করা এই শ্রমিকদের অনেকেরই অক্ষরজ্ঞান নেই। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সাক্ষর করে তোলার প্রয়াস নিয়েছেন শিক্ষকরা।
রাজস্থানের দোদিয়ানার একটি স্কুলে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের এক মাসে নিজের নাম ও ০ থেকে ১০ অবধি শিখিয়েছেন তাঁরা, সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সিনিয়র হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের এক শিক্ষক।
করোনা পরিস্থিতিতে ওই স্কুলে আটকে ১৯ জন শ্রমিক।
স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, প্রথমে বাড়ি ফিরতে না পেরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। পরে তাঁদের বোঝানো হয় এই সময়টা ভাল কাজে ব্যবহার করতে। তারপরই শুরু হয় তাঁদের পড়ানো।
এঁদের বেশিরভাগেরই বাড়ি রাজস্থানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। মধ্যপ্রদেশ থেকেও অনেকে এসেছেন। মেঘাদণ্ড গ্রামে চাষবাসের কাজের জন্যই এসেছিলেন এঁরা।
দেশজুড়ে লকডাউন হওয়ার পর থেকে ওই স্কুলেই তাঁদের বাস।