ফেক প্রোফাইলে ওই কিশোরী নিজের নাম রেখেছিল সিদ্ধার্থ। সেখানে সে নিজের সম্পর্কে একটি আপত্তিকর পোস্ট করে বলে অভিযোগ। তারপর অন্যান্য মেম্বাররা সে ব্যাপারে মতামত দিতে থাকে। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি ওই ফেক প্রোফাইল খুলেছিল অন্য ছেলেটির চরিত্র ও মূল্যবোধ পরীক্ষা করতে। তবে এই কিশোরকিশোরীর সঙ্গে বয়েজ লকার রুম ইন্সটাগ্রাম গ্রুপের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
দেখা যাক, কী আলোচনা হত ওই স্ন্যাপচ্যাট গ্রুপে। যে স্ক্রিনশটটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সিদ্ধার্থ বলে একজন আর একজনের সঙ্গে একটি মেয়েকে যৌন হেনস্থা নিয়ে আলোচনা করছে। পুলিশ বলছে, ওই সিদ্ধার্থ আসলে মেয়ে, সে-ই ফেক প্রোফাইল খুলে নিজেরই যৌন হেনস্থা নিয়ে অপর একটি কিশোরের সঙ্গে আলোচনা করছিল। যে ছেলেটিকে ওই সব মেসেজ সে করেছিল তার চারিত্রিক দৃঢ়তা পরীক্ষা করতে এটা করেছিল সে, দেখার ইচ্ছে ছিল, তার নিজের সম্পর্কে কেউ খারাপ কিছু বললে ওই ছেলেটি কেমন প্রতিক্রিয়া দেয়। কিন্তু ওই কিশোর ‘সিদ্ধার্থে’র প্রস্তাব করা যৌন হেনস্থার প্ল্যানে যোগ দেয়নি, এর ফলে আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়। ওই ছেলেটিই আলোচনার স্ক্রিনশট নিয়ে নিজের বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে, এমনকী সিদ্ধার্থের আড়ালে যে মেয়েটি রয়েছে তাকেও পাঠায় ওই স্ক্রিনশট। অন্যরা এটি অন্যত্র শেয়ার করলেও মেয়েটি কিন্তু এ ব্যাপারে কাউকে জানায়নি।
বয়েজ লকার রুম ইনস্টাগ্রাম স্ক্রিনশটের সঙ্গে কোনওভাবে এই স্ন্যাপচ্যাট আলোচনাও যুক্ত হয়ে যায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকে। পুলিশ জানিয়েছে, বয়েজ লকার রুম ইনস্টাগ্রাম গ্রুপের সব সদস্যের পরিচয় জোগাড়ের চেষ্টা করছে তারা, তাদের জেরা করা হবে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে গ্রুপ অ্যাডমিনকে।