মুম্বই: মহারাষ্ট্রের গ্রাম লগতপুরী । গ্রামে নেই কোনও সিনেমা হল। কিন্তু তাঁরা ৩০ কিলোমিটার দূরে যান শুধু ইরফান খানের ছবি দেখবেন বলে। কেন? কারণ ইরফান তাঁদের কাছে পর্দার হিরো নন, রক্তমাংসের মানুষ - রিয়্যাল লাইফ হিরো।
লগতপুরী গ্রামের মানুষদের মনে গেঁথে আছে ইরফানের নাম। ওই গ্রামের শতাধিক ছাত্রছাত্রীই কৃতজ্ঞ ইরফানের কাছে। বহু বহু গরিব পরিবার হয়েছেন উপকৃত। দরিদ্র পরিবারেরপড়ুয়াদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর এই অবদানের কথা মাথায় রেখে নিজেদের গ্রামের নামই বদলে ফেলতে চলেছেন তাঁরা। জানালেন গ্রামের জেলা পরিষদের সদস্য গোরখ বোড়কে।
''ইরফানের স্মৃতিতে আমরা গ্রামের নাম দিতে চলেছি হিরো-চি-ওয়াদি'', বললেন তিনি। মারাঠি ভাষায় হিরো-চি-ওয়াদি মানে হিরোর প্রতিবেশী।
" যখনই প্রয়োজন হয়েছে, ইরফান আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছেন। স্কুলের পরিকাঠামোর উন্নতিসাধনে সাহায্য করেছন। পড়ুয়াদের বই কিনে দিয়েছেন ", জানালেন গোরখ বোড়কে। বললেন, " উনি আমাদের অভিভাবকের মতো। একবার অ্যাম্বুলেন্সের দরকার ছিল। জানালাম ওঁকে। দুবার না ভেবেই দান করলেন অ্যাম্বুলেন্স আমাদের গ্রামের জন্য। "
ছোট ছোট জিনিসেই খুশি হতেন ইরফান। যেন ঠিক মাটির মানুষ। অন্যকে সাহায্য করতেন মন খুলে। ইরফান সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে এমনটাই বলছিলেন তাঁর এক সহ অভিনেতা। 'পান সিং তোমর' এ ইরফানের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ইমরান হাসনি। সহ অভিনেতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বললেন, ''ইরফান সেই ধরনের লোক ছিলেন না, যাঁরা অ্যাওয়ার্ডের জন্য সেলিব্রেশন করেন। বরং তিনি পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করতেন। ''