Kerala Bomb Incident: কেরলের কোচিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ। কোচির কালামাসেরির একটি কনভেনশন সেন্টারে ধর্মীয় সভায় বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন বলে খবর। অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সকাল ৯টা নাগাদ প্রথম বিস্ফোরণ হয়। সূত্রের খবর, সভায় প্রার্থনা চলাকালীনই প্রথম বিস্ফোরণ ঘটেছে। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে পরপর বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়েছে ওই কনভেনশন সেন্টারে। নাশকতার কারণেই বিস্ফোরণ বলে অনুমান পুলিশের। তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এনআইএ এবং এনএসজি'র টিম। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এক ঘণ্টার মধ্যে তিন-চারটি বিস্ফোরণ হয়েছে। পাঁচ থেকে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের সময় প্রায় আড়াই হাজার মানুষ ওই কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত ছিলেন। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তৎপর রয়েছে পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। ক্রমশ বাড়ছে আহতের সংখ্যা। 



কেরলের এই বিস্ফোরণের ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের। কেরল পুলিশের অনুমান, এটি একটি নাশকতামূলক বিস্ফোরণ। গোয়েন্দারা একে লো ইন্টেনসিটি সিরিয়াল ব্লাস্ট বলে অনুমান করছেন। এর আগেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই জাতীয় বিস্ফোরণ হয়েছে। সেই কায়দাতেই কেরলের এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে অনুমান। এই লো ইন্টেনসিটি অর্থাৎ বিস্ফোরণের মাত্রা সাংঘাতিক নয়। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় নির্দিষ্ট সময়ান্তরে একাধিক বিস্ফোরণ হতে থাকবে। অর্থাৎ বিভিন্ন জায়গায় লোকজন আহত এবং নিহত হবেন। এখনও পর্যন্ত বিস্ফোরণের কারণ স্পষ্ট হয়নি। কোনও সংগঠন বা কেউই এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। 


যদি কোচির এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণ শেষ পর্যন্ত লো ইন্টেনসিটি সিরিয়াল ব্লাস্ট হয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে পরিকল্পনামাফিক এই দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে। কোনও সংগঠন ছক কষে আঁটঘাট বেঁধেই এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এর আগে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় এরকম বিস্ফোরণ হয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা এই জাতীয় ঘটনা দেখা যায়নি। তবে গোয়েন্দাদের একাংশ এই বিস্ফোরণের কায়দা দেখে অনুমান করছেন হয়তো কোনও সংগঠন সক্রিয় হয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তবে সবটাই এখনও অনুমান। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে কালামাসেরি যাচ্ছে এনআইএ এবং এনএসজি- র টিম। তদন্ত এবং অনুসন্ধানের পরেই বিস্ফোরণের আসল কারণ জানা যাবে। তবে এখনও পর্যন্ত যা ঘটেছে তার ভিত্তিতে অনুমান করা হচ্ছে এই বিস্ফোরণ একটি লো ইন্টেনসিটি টেরর ব্লাস্ট হতে পারে। আর এই সম্ভাবনার সঙ্গেই দেশের নিরাপত্তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কারণ অনুমান, তাহলে হয়তো সক্রিয় হয়েছে কোনও জঙ্গি সংগঠন। দীর্ঘদিন এই ধরনের সক্রিয়তা সেভাবে লক্ষ্য করা যায়নি। এখন সবটাই নির্ভর করছে তদন্ত এবং অনুসন্ধানের উপর।