কলকাতা : বিএসএফ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক। কলকাতায় পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজিপি, এসপি-দের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। বিএসএফ কর্তাদের পাশাপাশি, সীমান্তবর্তী জেলার জেলাশাসকরাও ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে পারেন। 


সূত্রের খবর, বিএসএফের কাজের পরিসর বৃদ্ধি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। বিএসএফের এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটারই থাকবে নাকি ৫০ কিলোমিটার হবে, এই পরিসরে বিএসএফের তল্লাশি, গ্রেফতারি এই সমস্ত বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে। 


এদিকে বিএসএফের কাজের পরিসর বৃদ্ধিতে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনায় উঠতে পারে রাজ্যের আপত্তির বিষয়টিও।


প্রসঙ্গত, সীমান্ত সন্ত্রাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ লাগোয়া ৩ রাজ্য-- বাংলা, অসম ও পঞ্জাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার ভিতর অবধি এলাকায় তল্লাশি, অবৈধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত ও গ্রেফতার করতে পারবে বিএসএফ। 


এপ্রসঙ্গে সম্প্রতি শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আগে বিএসএফ-এর হাতে ছিল ১৫ কিমি। এখন বলছে ৫০ কিমি পর্যন্ত ওনারা ঘুরতে পারবেন। এর মানেটা কী? যদিও তিনি জানিয়ে দেন, এজেন্সি নয়, তাঁর অভিযোগ সেই রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে, যাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কোনও এজেন্সির বিরুদ্ধে বলছি না। আমি বিএসএফ-কে সম্মান করি। কিন্তু যে পলিটিক্যাল লোকেরা এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তারা অশান্তিতে উস্কানি আর বর্ডারে বর্ডারে লড়াই বাধাতে চায়। আসলে এসব বলে সব ক্ষমতার অধিকার চায়।


এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের রাজ্য সফরের দিনই কোচবিহারের সিতাইয়ে সাত ভাণ্ডারি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ৩ জনের মৃত্যু হল। নিহতদের মধ্যে দু’জন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয় বলে পুলিশের দাবি। স্থানীয়দের দাবি, গরুপাচার ঠেকাতেই গুলি চলে। ঘটনাস্থলে যায় সিতাই থানার পুলিশ। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, গতকাল রাত ৩টে নাগাদ সশস্ত্র বাংলাদেশি পাচারকারীরা সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করে। বাধা দিলে বিএসএফ (BSF) জওয়ানদের ওপর আক্রমণ হয়। তার জেরেই বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি পাচারকারীর মৃত্যু হয়। ঘটনায় জখম হন এক জওয়ানও। দাবি বিএসএফের।