অলোক সাঁতরা, কেশপুর: বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে লিফবেট বিলি করা হল কেশপুরের মহিষদায়। নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। যদিও, তা মানতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল।


দোকানে গেলে, বিক্রি করা যাবে না জিনিস। খেতে দেওয়া যাবে না চা। লিফলেটে এই অংশটা মার্ক করে দেখাতে হবে। তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবের গ্রাম কেশপুরের মহিষদায় এভাবেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের নাম করে সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে লিফলেট বিলি করা হল।


লিফলটের উপরে বড় করে লেখা রয়েছে, মহিষদা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। লিফলেটে যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের অধিকাংশই বিজেপির সদস্য। এছাড়াও, নাম রয়েছে সিপিএম কর্মীদেরও। বিধানসভা ভোটে কেশপুর আসনে তৃণমূল জিতলেও, ১৭৬ ও ১৭৯ নম্বর বুথে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার, এই এলাকাতেই সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে লিফলেট বিলি করা হল। যার নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে দাবি বিজেপির।


ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি তন্ময় ঘোষ বলেন, প্রতিহিংসাতেই সামাজিক বয়কটের ডাক তৃণমূলের। কেশপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠির কথায় , বিজেপি মিথ্যে কথা বলছে, তৃণমূল এসব করেনি।সামাজিক বয়কটের ডাক, তুঙ্গে তরজা। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সর্বত্রই একই ছবি। বিজেপিকে জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা, ত্রাণ বন্টনেও একই চিত্র। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায়ের কথায়, এরা সব কিছুতেই তৃণমূলকে দেখে, মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে, তৃণমূলকে গ্রহণ করেছে। সেখানে তৃণমূলের কিছু করার নেই, এর পিছনে বিজেপিই রয়েছে।


কোভিড হাসপাতাল তৈরি থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে থাকা। বর্তমান পরিস্থিতি রাজনীতি করার নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর, দুর্গত মানুষদের সাহায্যে করার বার্তা দিয়ে বারবার পথে নেমেছেন তৃণমূলের অভিনেতা-সাংসদ দেব। আর তার গ্রামেই কি না বিলি করা হল, সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে লিফলেট!