রিও দে জেনেইরো: কোপা আমেরিকা নিয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। প্রথমে যৌথভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্তিনার। পরে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য হামেজ় রদরিগেজ়দের দেশ থেকে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়া হয়। সেই সময় মনে হয়েছিল, আর্জেন্তিনা হয়তো এককভাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা কনমেবল জানিয়ে দেয়, টুর্নামেন্ট হবে ব্রাজিলে। সেই মতো রাতারাতি সূচিও পাল্টে ফেলা হয়। প্রথমে ঠিক ছিল, আর্জেন্তিনা ও চিলে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। কিন্তু আয়োজক দেশ হিসাবে ব্রাজিলের নাম ঘোষণা হতেই সেটা পাল্টে গিয়ে ব্রাজিল বনাম ভেনেজুয়েলা ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্টের সূচনা হওয়ার কথা জানানো হয়।


যদিও ব্রাজিলের কোপা আমেরিকা আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়া ঘিরে শুরু থেকেই বিতর্ক। করোনা সংক্রমণে রীতিমতো জেরবার ব্রাজিল। সে দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার এমনই ব্য়র্থ যে, তদন্ত চলছে খোদ প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। তারই মাঝে দরজায় কড়া নাড়ছে কোপা আমেরিকা। শুরু হতে আর ১০ দিনও বাকি নেই। ১৩ জুন (ভারতীয় সময় অনুযায়ী ১৪ তারিখ ভোররাত) ব্রাজিল-ভেনেজুয়েলার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্ট।


তবে ঘরের মাঠে আয়োজিত মেগা টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করা নিয়ে সন্দিহান ব্রাজিলের ফুটবলাররাই। করোনা পরিস্থিতিতে আর্জেন্তিনা থেকে কোপার আসর সরানো হলেও ব্রাজিলের অবস্থাও প্রায় একই। এখনও অবধি নেমারদের দেশের প্রায় ৪.৭ লক্ষ লোক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এমন অবস্থায় টুর্নামেন্ট খেলা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত ফুটবলারা। শোনা যাচ্ছে, ব্রাজিলের ফুটবলাররা টুর্নামেন্ট বয়কট করার জন্য আন্দোলন করার কথা ভাবছেন। এমনকী, তাঁরা নাকি অন্য়ান্য় দেশের ফুটবলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন! যাতে কেউই টুর্নামেন্ট খেলতে ব্রাজিলে না আসে।


ইতিমধ্যেই ব্রাজিল ফুটবল সংস্থার সভাপতিকে এই বিষয়ে নিজেদের মতামত জানালেও সর্বসমক্ষে মুখ খোলেননি ব্রাজিলীয় তারকারা। ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে আসন্ন বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ দু'টির পরেই সকলের সামনে নেমাররা নিজেদের মতামত ব্যক্ত করবেন বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের কোচ তিতে। তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘ওদের একটা মতামত আছে যা ওরা সভাপতিকে জানিয়েছে এবং ঠিক সময়ে সকলকেই জানাবে।’


৮ জুন, ভারতীয় সময় অনুযায়ী ৯ জুন ভোরে প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। তারপর নেমাররা বাদ সাধলে কোপার ভবিষ্যতই না অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।