৩১ মার্চ, ৩ দশক আগে এইদিনেই মরণোত্তর ভারতরত্ন পেয়েছিলেন দলিতদের কণ্ঠস্বর অম্বেডকর, পড়ুন কিছু তথ্য
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 31 Mar 2020 11:01 AM (IST)
ভারতবর্ষের দলিত সমাজের কাছে অম্বে়ডকর নামটা গভীর শ্রদ্ধা, মর্যাদার। আজীবন দলিত অধিকার রক্ষায় সংগ্রামের নেতা, সেনানি ছিলেন তিনি।
নয়াদিল্লি: আজ ৩১ মার্চ দিনটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলির অন্যতম হল, তিনটি দশক আগে আজকের দিনেই মরণোত্তর ভারতরত্ন খেতাব অর্পণ করা হয়েছিল বাবাসাহেব ভিমরাও অম্বেডকরকে। সালটা ছিল ১৯৯০। ভারতবর্ষের দলিত সমাজের কাছে অম্বে়ডকর নামটা গভীর শ্রদ্ধা, মর্যাদার। আজীবন দলিত অধিকার রক্ষায় সংগ্রামের নেতা, সেনানি ছিলেন তিনি। ১৮৯১ এর ১৪ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশের মউয়ে জন্ম হয়েছিল তাঁর। দলিত সমাজের উত্থানে, সামাজিক মর্যাদা, তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে আজীবন লড়াই করে যাওয়া মানুষটি দেশের সংবিধান রচনারও মূল কারিগর। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সের মতো নামি প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থনীতিতে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মতো বিষয়েও গভীর পড়াশোনা ছিল মানুষটির। তবে শুধু জ্ঞানের জগতে সীমিত ছিল না তাঁর জীবন। নিজেকে সমর্পণ করেছিলেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামেও। সেই ময়দানেও এগিয়ে এসেছিলেন নেতার ভূমিকায়। দলিত সংগ্রামের তত্ত্ব নিয়ে সচল ছিল তাঁর কলম। ভারত রাষ্ট্রের চেহারা স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর কেমন হবে, সে বিষয়েও সূদুরপ্রসারী ভাবনাচিন্তা ছিল অম্বেডকরের। রাষ্ট্রগঠন, ভারতীয় সংবিধানের খসড়া রচনা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠার মৌলিক ভিত তৈরি, ভাবনাচিন্তার মাধ্যমে সেই কাজ এগিয়ে দেওয়া, তাঁর অবদান অসীম। ১৯৫৬ সালে তিনি ধর্মান্তরিত হন। বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন। এই ধর্মের ওপর তাঁর একটি বইও আছে, যার নাম দি বুদ্ধ অ্য়ান্ড হিজ ধম্মো। এই বইয়ের চূড়ান্ত পান্ডুলিপি তিনি শেষ করেন সে বছরেই। তবে এই কাজ যেদিন শেষ হয়, তার তিনদিন বাদেই ৬ ডিসেম্বর তিনি দিল্লির বাসভবনে ঘুমের মধ্যে মারা যান। শেষ হয় একটা অধ্যায়।