নয়াদিল্লি: ফের বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা। এবার বিমান দুর্ঘটনা ঘটল ব্রাজিলে। সাও পাওলোর কাছে ভেঙে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান, যাতে সওয়ার ছিলেন ৬২ জন যাত্রী। দুর্ঘটনায় সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বসতি এলাকায় ভেঙে পড়ে বিমানটি। বসতি এলাকায় বিমানটি ভেঙে পড়ায়, একটি আবাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আবাসনের কোনও বাসিন্দা হতাহত হননি। (Brazil Plane Crash)


শুক্রবার কাসকাভেল থেকে সাও পাওলো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ট্যুইন টার্বোপ্রপ বিমানটি। ৫৮ জন যাত্রী এবং চার জন বিমান কর্মী সওয়ার ছিলেন। সবসুদ্ধ ভিনহেদো বসতি এলাকায় ভেঙে পড়ে বিমানটি। ঠিক কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়।  তবে Airways Magazine জানিয়েছে, ভেঙে পড়ার আগে বিমানটি জিপিএস সিগনাল হারায়।(Brazil Plane Crash Video)


সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্ঘটনার মুহূর্তের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, যাতে গোল হয়ে ঘুরতে ঘুরতে তীব্র গতিতে বিমানটিকে নীচের দিকে নেমে আসতে দেখা যায়। বসতি এলাকায় গাছপালা ভেদ করে এর পর আছড়ে পড়ে বিমানটি। মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারিদিক। দুর্ঘটনার আগে বিমানটি হঠাৎ করে ১৭০০০ ফুট উচ্চতা থেকে ৪০০০ ফুটে নেমে আসে বিমানটি।



আরও পড়ুন: Bangladesh Violence: বাংলাদেশের জামালপুর জেলা কারাগারে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, গুলিতে ৬ বন্দির মৃত্যু !


সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানের কোনও যাত্রী জীবিত নেই। বিমানটি ভেঙে পড়ে স্থানীয় একটি আবাসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আবাসনের কোনও বাসিন্দা হতাহত হননি। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলাল দা সিলভা দুর্ঘটনার সময় একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন। উপস্থিত সকলকে তিনিই দুঃসংবাদ দেন এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।


যে বিমানটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছে, সেটি Vorpass বিমান সংস্থার। পারানার কাসকাভেল থেকে সাও পাওলোর মূল বিমানবন্দরে যাচ্ছিল। দুর্ঘটনাক সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত তারাও জানাতে পারেনি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি ATR 72-500 টার্বোপ্রপ বিমান ছিল, যার যৌথ মালিকানা Airbus এবং ইতালির এ্যারোস্পেস সংস্থা লিওনার্দোর কাছে। ATR-ও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।