নয়াদিল্লি: অবশেষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে বেরিয়ে গেল ব্রিটেন। বিশ্বের সব থেকে বড় বাণিজ্যিক সংগঠনের তাদের ৪৭ বছরের সদস্যপদের এভাবে সমাপ্তি ঘটাল তারা। গতকাল স্থানীয় সময় রাত ১১টায় ইউ ছেড়ে তারা বেরিয়ে গিয়েছে।


ব্রেক্সিট ইস্যুতে প্রস্তাব পাশের পর তা নিয়ে ব্রিটিশদের মধ্যে সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে প্রচণ্ড বিতর্ক হয়েছে, এই ইস্যুতে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে যায় সমাজ। একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ব্রেক্সিট দিবস উদযাপন করতে লন্ডনের রাস্তায় কাল ইউ-এর পতাকা পোড়ানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আবার তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে ইংলিশ ওয়াইন ও ব্রিটিশ খানার সঙ্গে ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসে পালন করেছেন এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ব্রেক্সিট সমর্থক হাজার হাজার মানুষ পার্লামেন্টের সামনে ভিড় জমিয়ে উৎসবে মেতেছেন, আবার ব্রেক্সিট বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন আয়ারল্যান্ড সীমান্তের পাশে।

তবে ব্রেক্সিট ছাড়লেই ইউ-এর সঙ্গে ব্রিটেনের সব সম্পর্ক যে চুকেবুকে গিয়েছে এমনটা নয়। ইউ-এর সঙ্গে তাদের একটি বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে এ বছরের শেষ পর্যন্ত আলোচনা চলবে।

জনসন বলেছেন, ইউ গত ৫০ বছরে যে পথে হেঁটেছে তা তাঁদের দেশের সঙ্গে মানানসই নয়। তাই সার্বভৌমত্ব ফিরে পেয়ে এই মুহূর্তে তাঁদের কাজ যে সব কারণে মানুষ তাঁদের ভোট দিয়েছেন, সেগুলি বাস্তবায়িত করা। অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ, বন্দরগুলিকে নিয়ন্ত্রণ মুক্ত করা, মৎস্যশিল্পকে স্বাধীনতা দেওয়া বা মুক্তি বাণিজ্য চুক্তি- এই সবই তাঁদের লক্ষ্য। দেশের আইনকানুনগুলি সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে তৈরি করতে চান। তবে ইউ-এর সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

তবে অনেক ব্রিটেনবাসী ব্রেক্সিটে খুশি হলেও ২০১৬-র গণভোটে স্কটল্যান্ড ভোট দিয়েছিল ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে। সেখানকার মানুষ মোমবাতি মিছিল করছেন, একের পর এক মিটিং ডেকে দাবি করেছেন, ইউ-এ স্কটল্যান্ডকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডেও বর্ডার কমিউনিটি এগেন্সট ব্রেক্সিট নামে একটি সংগঠন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে জোরদার প্রতিবাদে নেমেছে।