নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক শরিক নেতা সাংবাদিকদের বৈঠকের পর জানান, মোদি স্পষ্ট বলেছেন, সংখ্যালঘুরাও বাকি সব নাগরিকের মতোই আমাদের সমান প্রিয়। প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, সরকার সিএএ চালু করে কোনও অন্যায় করেনি। সুতরাং কোণঠাসা বোধ করার, ব্যাকফুটে যাওয়ার কোনও কারণ নেই।
সদ্য স্বাক্ষরিত বড়ো চুক্তি, ত্রিপুরায় ব্রু উপজাতিদের সেটলমেন্টের জন্যও প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করেন এনডিএ নেতারা। বিরোধী নেতারা বাজেট অধিবেশনে সিএএ-র বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অসন্তোষ, প্রতিবাদের প্রসঙ্গ তুলে সরকারকে চাপে ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মোদি সরকার এ নিয়ে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের কথা শোনার কোনও আগ্রহই দেখাচ্ছে না বলে তাদের অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, সিএএ-র বিরুদ্ধে দেশের নানা শহরে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে আজ সংসদের উভয় কক্ষের যৌথ বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) প্রসঙ্গের উল্লেখই করেননি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এটা গুরুত্বপূর্ণ এজন্যই যে, রাষ্ট্রপতিই গত বছরের ২০ জুন ১৭-তম লোকসভার সূচনায় উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনের ভাষণে বলেছিলেন, মোদি সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এনআরসি প্রক্রিয়া চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।