লন্ডন: ১৩০ দিন ধরে করোনার সঙ্গে লড়েছেন। অবশেষে সেরে উঠেছেন ৩৫ বছরের ফতিমা ব্রিডল। রিকভারি ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাঁকে।

১২ মার্চ ফতিমাকে সাউদাম্পটন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১ মাস মরক্কোর মহম্মেদিয়ায় ছুটি কাটিয়ে ৬ মার্চ ইংল্যন্ড ফেরেন তিনি। তারপর থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন। তাঁর স্বামী ৫৬ বছরের ট্রেসি ব্রিডলের শরীরে প্রথম করোনার লক্ষণ প্রকাশ পায়। তারপর ফতিমাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বেশ কয়েকদিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও তা কাজ করেনি। ১৮ তারিখ তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ারে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে শরীরে দেখা দেয় নিউমোনিয়া, করোনাভাইরাস ও সেপসিস। ৪০ দিন কোমায় ছিলেন ফতিমা। মুখের মধ্য দিয়ে টিউব ঢুকিয়ে স্যালাইন মিশ্রন দিয়ে তাঁর ফুসফুস পরিষ্কার করা হয়।

কিছুদিন পর তাঁর স্বাস্থ্যে লক্ষ্যণীয় উন্নতি হয়, নিজে থেকে শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ৪০ শতাংশ। এপ্রিলের শেষে তাঁর করোনা সেরে যায় কিন্তু নিউমোনিয়ার চিকিৎসা চলতে থাকে। পরের মাস থেকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টও কমিয়ে দেওয়া হয়। ১০৫ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর এখন তিনি অনেকটা সুস্থ। আগের থেকে বেশি কথা বলতে পারছেন, ওয়াকার নিয়ে হাঁটতেও পারছেন। নিজে থেকে ৭০ শতাংশ শ্বাসও নিতে পারছেন। স্বামীর সঙ্গে ৪ মাস থাকেননি, এবার তিনি দ্রুত বাড়ি ফিরতে চান।

ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, ফতিমার সুস্থ হওয়ার খবরে তিনি ভীষণ খুশি। ফতিমার স্বামী, প্রাক্তন সেনা কর্মী ট্রেসি ব্রিডল বলেছেন, তাঁর স্ত্রী মেডিক্যাল মিরাকল। এভাবে এতদিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর এভাবে সুস্থ হয়ে ওঠা অসাধারণ ব্যাপার।

২০১৬ সালে অনলাইনে পরিচয় হয় ফতিমা ও ট্রেসির। অন্যান্য সম্পর্কে তাঁদের ৪টি সন্তান রয়েছে।