জামশেদপুর: অভিনব চুরির ঘটনা দেখা গেল ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে। একটি ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির বাড়িতে রান্না করে মাংস-ভাত খেয়ে ৫০ হাজার টাকা ও সমমূল্যের গয়না নিয়ে চম্পট দিল চোরেরা। অন্য একটি ঘটনায় দু’টি বাড়ি থেকে চুরি গেল স্যানিটাইজার এবং অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী।


ডিএসপি অলোক রঞ্জন জানিয়েছেন, ‘টাটা মেইন হাসপাতালে ভর্তি এক করোনা আক্রান্তের বাড়ি থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৫০ হাজার টাকার গয়না চুরি হয়েছে। ওই অঞ্চলটিকে কনটেনমেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চোরেরা দরজা ভেঙে ওই বাড়িতে ঢোকে। এরপর তারা মাংস, ভাত, চাপাটি রান্না করে, খেয়ে তারপর চুরি করে পালায় বলে অভিযোগ।’

যে ব্যক্তির বাড়িতে চুরি হয়েছে, তাঁর ভাই থানায় লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ‘৮ জুলাই আমার ভাইয়ের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই তাঁর বাড়ি ও আশেপাশের অঞ্চলকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তাঁকে টাটা মেইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর বাড়ি সিল করে দেয় পুলিশ। তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা গত একমাস ধরে গ্রামের বাড়িতে আছে। আমার ভাই আমাকে বাড়ির অবস্থা দেখে আসতে বলে। আমি গিয়ে দেখতে পাই চুরি হয়েছে।’

দ্বিতীয় ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন, টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। ভিন্ন থানা এলাকায় এরকম অভিনব চুরির ঘটনায় জামশেদপুর শহরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। দু’টি ক্ষেত্রেই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।