কান্দি: তৃণমূলের ‘বঙ্গধ্বনি’ কর্মসূচিতে দাদাগিরির অভিযোগ। মুর্শিদাবাদের কান্দিতে ‘বঙ্গধ্বনি’-র মিছিল চলাকালীন বিএসএফ জওয়ানকে গণপ্রহারের অভিযোগ উঠেছে। হামলার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। জওয়ান মত্ত ছিলেন বলে দাবি শাসক দলের নেতাদের। মানতে নারাজ আক্রান্ত।


ঘটনা কী ?

শুক্রবার মুর্শিদাবাদের কান্দিতে ‘বঙ্গধ্বনি’-র মিছিল শুরু করে তৃণমূল। সেই সময় মিছিলের সামনে চলে আসেন বিএসএফ জওয়ান। অভিযোগ, মিছিলের সামনে চলে আসার 'অপরাধে' তাঁকে মারধর করা হয়।  কান্দি থানার কাছে শীতলা মন্দির এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। যদিও এই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।

জানা গিয়েছে, আক্রান্ত জওয়ানের নাম বিশ্বজিৎ সাহানি। তিনি কান্দির কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা। আক্রান্তের দাবি, তৃণমূলের মিছিলের সামনে পড়ে যাওয়ায় তৃণমূল সমর্থক তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। জওয়ানের দাবি, কান্দির পুর প্রশাসক অপূর্ব সরকারের সামনেই আক্রান্ত হন তিনি। গুরুতর আহত ওই জওয়ানকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এদিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি মত্ত অবস্থায় ছিলেন ওই যুবক। কিন্তু সেই দাবি মানতে নারাজ অভিযোগকারী বিএসএফ জওয়ান বিশ্বজিৎ সাহানি। তিনি বলেন, আমি মদ্যপ থাকলে পরীক্ষা করা হোক। আক্রান্তের দাদা রাজেশ সাহানির কথায়, আমরা দেশের জন্য কাজ করি। আমাদের উপর এমন আক্রমণ হবে ভাবিনি। অভিযুক্তরা গ্রেফতার হোক।

মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কোঅর্ডিনেটর অশোক দাস বলেন, ওই বিএসএফ জওয়ান মদ্যপ ছিল। তাঁকে মারধর করা হয়নি। এদিকে ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, যাঁরা দেশ রক্ষা করছেন তাঁদের উপর শাসক দলের হামলা মেনে নেওয়া যায় না। একটা বাইক মিছিলের পাশ দিয়ে গেলে তৃণমূল নেতাদের খারাপ লাগতে পারে। তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারেন। কিন্তু নিজের হাতে শাস্তি দেন কীভাবে? মুর্শিদাবাদ দক্ষিণে বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরিশঙ্কর ঘোষ বলেন, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার করতে হবে। আক্রান্তের পরিবার ও তৃণমূলের তরফে কান্দি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।