নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভের সময় গত ২০ ডিসেম্বর দুষ্কৃতী তাণ্ডবে ভাঙচুর হওয়া সম্পত্তির অর্থমূল্য বাবদ ৬ লক্ষের বেশি টাকার চেক বুলন্দশহরের কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয় মুসলিমরা। দুষ্কৃতীদের রোষানলে সেদিন একাধিক সরকারি সম্পত্তি তছনচ হয়। তাঁদের সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছ থেকে চাঁদা তুলে ওই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসনকে জানান তাঁরা। সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি টাকা দিয়ে পুষিয়ে দিতে সাধারণ মুসলিমরা রাজি হন বলে জানা গিয়েছে।
বুলন্দশহরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার জানান, শুক্রবারের নমাজের পর মুসলিম প্রতিনিধিদলটি তাঁর ও সিনিয়র পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার সিংহের সঙ্গে দেখা করে ২০ ডিসেম্বর বুলন্দশহরের উপেরকোট এলাকায় বিক্ষোভ, প্রতিবাদের সময় ভাঙচুর হওয়া সম্পত্তির অর্থমূল্য হিসাবে ৬ লক্ষ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকার একটি ডিমান্ড ড্রাফট তুলে দেয়। তিনি বলেন, প্রতিনিধিদলটি ড্রাফটের সঙ্গে একটি চিঠিও দিয়েছে, যাতে সম্পত্তির ক্ষতি হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, তাঁরা শান্তিপূর্ণ মানুষ, কখনই হিংসা, অশান্তিতে থাকেন না। সেদিন একটি পুলিশের জিপে আগুন ধরানো, ওয়ারলেস সেট ও আরও কিছু জিনিসপত্র নষ্ট করারও নিন্দা করেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। জেলাশাসক বলেছেন, ভাল লাগছে যে, সরকার ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থা করার আগেই শান্তিতে বিষয়টা মিটে গেল। তিনি জানান, সেদিনের তাণ্ডব, হিংসার পরই কমিটি তৈরি করা হয় ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির অর্থমূল্যের হিসাব কষার জন্য। হিসাব কষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৬ লক্ষ টাকার বেশিই দাঁড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা নোটিস পাওয়ার আগেই সমপরিমাণ অর্থ জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রসঙ্গত, মেরঠ জেলা কর্তৃপক্ষ নগর নিগম কর্তৃপক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পত্তির অর্থ আদায়ের জন্য ১২ জনকে নোটিস পাঠিয়েছে। গত সপ্তাহের হিংসা, অশান্তির সময় নষ্ট হওয়া রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির জন্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের অন্য শহরগুলিতেও একই প্রক্রিয়া চালাচ্ছে প্রশাসন।