নয়াদিল্লি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে মিছিল করতে চলেছে কংগ্রেস। প্রতিটি রাজ্যে ফ্ল্যাগ মার্চ করে সাধারণ মানুষকে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জানানোর জন্য জন্য প্রদেশ নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছে তারা। দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ভঢরা থাকবেন লখনউতে, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী আবার যাবেন গুয়াহাটিতে।
গুয়াহাটিতে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সভায় বক্তব্য রাখবেন রাহুল, নেতৃত্ব দেবেন মিছিলের। প্রিয়ঙ্কা গতকালই লখনউ পৌঁছে গিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ সরকার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে ‘কড়া’ ব্যবস্থা নেওয়ায় আন্দোলনের পথে হাঁটতে চান তাঁরা। এছাড়া আজ কংগ্রেসের ১৩৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস। এ ব্যাপারে একটি অনুষ্ঠানে তাঁর অংশ নেওয়ার কথা, তারপর প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে দলীয় কৌশল ঠিক করতে বৈঠকে বসবেন।


আজ দিল্লিতে কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে দলের সদর দফতরে পতাকা উত্তোলন করেন সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন রাহুল। বলেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ২ নম্বর নোটবন্দির ঘটনা। ফের গরিব মানুষ লাইনে দাঁড়াবে আর ধনীদের বন্ধু রয়েছে বলে তাদের লাইনে দাঁড়াতে হবে না। ডিটেনশন সেন্টার নিয়ে বিজেপি তাঁকে মিথ্যাবাদী বলায় রাহুলের জবাব, আমার টুইট দেখুন আর প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনুন। তারপর আপনারাই ঠিক করুন, কে মিথ্যাবাদী।

প্রিয়ঙ্কাও গতকাল নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নাম না করে আক্রমণ শানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে। যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় এই আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে, সেই প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন, ইয়াঙ্গিস্তানকে দমানো যাবে না। প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, কালপঞ্জীটা বুঝুন, প্রথমে আপনাকে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে। তারপর ওরা সরকার গড়বে। প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধ্বংস করবে। তারপর ধ্বংস করবে সংবিধান। প্রতিবাদ করলে আপনাকে বলবে নির্বোধ। কিন্তু এভাবে ইয়াঙ্গিস্তানকে দমানো যাবে না।
জাতীয় নাগরিক পঞ্জী বা এনপিআরেরও বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, এনপিআর নাগরিকের ব্যক্তিগত সীমা লঙ্ঘন করবে।