আমদাবাদ: মুম্বই-আমদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণকে চ্যালেঞ্জ করে কৃষকদের দায়ের করা ১২০টিরও বেশি পিটিশন খারিজ করল গুজরাত হাইকোর্ট। কৃষকরা বেশি ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন।
বিচারপতি এ এস দাভের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ওই কৃষকদের জমি অধিগ্রহণের বিনিময়ে সঠিক, ন্যয্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। যদিও নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত মনে করা চাষিরা আরও ক্ষতিপূরণের দাবিতে উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন। ২০১৬ সালে গুজরাত সরকারের সংশোধন করা ও সংসদের অনুমোদন দেওয়া জমি অধিগ্রহণ আইনের বৈধতা বহাল রাখে বেঞ্চ। আদালত এই অভিমতও জানায় যে, সংশোধিত আইনে সামাজিক প্রভাব খতিয়ে না দেখার যে বিধি রয়েছে, সেটি আন্দোলনরত কৃষকদের দাবিমতো ‘চরম বঞ্চনা’র পর্যায়ে পড়ে না। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির গাইডলাইনে সামাজিক প্রভাব-প্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখার যে প্রক্রিয়া চালানো হয়েছে, তা সঠিক, সন্তোষজনক ছিল।
আমদাবাদ থেকে মুম্বই পর্যন্ত ৫০৮ কিমি দীর্ঘ প্রস্তাবিত বুলেট ট্রেন করিডরে ১২টি স্টেশন থাকবে।
প্রথমে সুরাত জেলার ৫ চাষি হাইকোর্টে পিটিশন পেশ করেন। পরে তাঁরা পিটিশন তুলে নিলেও পরে অন্য কয়েকশ কৃষক পিটিশন দাখিল করেন। তাঁরা জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করে প্রকল্পের কী সামাজিক-অর্থনৈতিক প্রভাব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনের ওপর পড়তে চলেছে, তা সমীক্ষা করে খতিয়ে দেখে কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণ আইন অনুসারে হিসাব কষে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। চলতি বাজার দর অনুসারে ক্ষতিপূরণ চান তাঁরা।