নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের দুটি মন্ত্রক এখন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইটা সামনে থেকে লড়ছে। একটি তো অবশ্যই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, অন্যটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দিনরাত ধরে দেশে করোনা যাতে আর না ছড়াতে পারে, তার চেষ্টায় লেগে রয়েছে তারা। এর মধ্যে রয়েছে লকডাউন য়াতে ঠিকমত ফলপ্রসূ হয় তা নিশ্চিত করা এবং বিভিন্ন রাজ্য ও গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার মধ্যে ঠিকমত বোঝাপড়া তৈরি করা।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ বছরের শুরু থেকেই কার্যত খবরের বাইরে, তাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যস্ততা সত্ত্বেও তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রশ্ন ঘুরছিল। সমাজবাদী পার্টির প্রাক্তন সাংসদ ও এক সংবাদপত্রের সম্পাদক সাহিদ সিদ্দিকি টুইটারে দাবি করেন, সাংঘাতিক কিছু একটা ঘটেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাপারে জনগণকে অবহিত করতে কেন্দ্রকে অনুরোধ করেন তিনি।


একইরকম টুইট করেন আর এক সাংবাদিক রানা আয়ুবও।


কিন্তু খবর পাওয়া গিয়েছে, অমিত শাহ কাজে মারাত্মক ব্যস্ত, বিশ্বজোড়া অতিমারী যাতে ভারতে আর ছড়াতে না পারে সে জন্য দিনরাত কাজ করছেন তিনি। তবে সবটাই নেপথ্যে থেকে, সামনে এগিয়ে দিচ্ছেন সরকারি অফিসারদের। তাঁর স্বাস্থ্য একেবারে ঠিকঠাক, মন্ত্রকের যাবতীয় কাজকর্ম নিয়ম মেনে করছেন তিনি। এমনকী এই মুহূর্তে তিনি এতটাই সময়ের অভাবে ভুগছেন যে পরশু তাঁর দ্বিতীয় নাতনি জন্মেছে, তাকে দেখতেও গুজরাত যেতে পারেননি। সেদিন ভাইজাগে কারখানা থেকে গ্যাস লিক করায় রাত ১১টার আশপাশ অবধি তিনি নর্থ ব্লকের অফিসে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ব্যস্ত ছিলেন, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিমের কাজকর্মের তদারকি করছিলেন। নাতনির জন্মের জন্য বাড়ির লোক তাঁকে গুজরাতে ফেরার কথা বললেও তিনি শুধু ভিডিও কলেই দেখেছেন সদ্যজাতকে।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওয়েবসাইট দেখলেও পরিষ্কার হয়ে য়াবে, সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে নিয়মিত অফিসের কাজকর্ম করে চলেছেন তিনি। একের পর এক বৈঠক করছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন, ফলে তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে যে খবর রটেছে তা পুরোপুরি ভুয়ো, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।