কলকাতা: অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন কফি খাওয়া গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক। অল্পস্বল্প কফি খেলেই গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা। এমনকী মৃত শিশুর জন্ম হতে পারে। আর যদি শিশু ঠিকমত জন্মায়ও তার ওজন কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এক গবেষণা বলছে, গর্ভাবস্থায় কফি পান একেবারেই বন্ধ করার চেষ্টা করুন।
২০ থেকে ৪৮ বছর বয়সী মহিলাদের ওপর হয়েছে এই সমীক্ষা। ইংল্যান্ডের রয়্যাল কলেজের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগ বলছে, মেয়েদের প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফিন খাওয়া একেবারেই উচিত না। অর্থাৎ তাঁরা সর্বাধিক দিনে দুকাপ কফি খেতে পারেন। গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া অধ্যাপক জ্যাক জেমস বলেছেন, কম মাত্রার ক্যাফিনও গর্ভপাতের আশঙ্কা ৩৬ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। মৃত শিশুর জন্মের আশঙ্কা বেড়ে যায় ১৯ শতাংশ আর জন্মের সময় শিশুর ওজন স্বাভাবিক ওজনের ৫১ শতাংশ কমে যেতে পারে। আবার শৈশবেই লিউকোমিয়া রোগ আর স্থূলত্বের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
জেমসের অনুমান, প্রতিদিন যদি ব্রিটেনের প্রত্যেক গর্ভবতী ২০০ মিলিগ্রাম করে ক্যাফিন সেবন করেন তবে ৭০,০০০ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাঁর কথায়, কফি রক্তে মিশে অর্ধেক হয়ে যেতে ঘণ্টাপাঁচেক সময় নেয়। তারপর তার মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। গর্ভাবস্থায় এই সময় আরও বেশি লাগে। গর্ভাবস্থার ১৮ সপ্তাহে অর্ধেক ক্যাফিন রক্তে মিশতে ১৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। অর্থাৎ দীর্ঘ সময় শিশু ড্রাগের প্রকোপে থাকবে। এর প্রভাব পড়বে তার শারীরিক বিকাশে।
যদিও আর এক গবেষক অ্যাডাম জ্যাকবের সিদ্ধান্ত জেমসের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এই গবেষণায় শিশুর যে শারীরিক ক্ষতির কথা বলা হয়েছে, শুধু ক্যাফিন তার কারণ নয়। অন্যান্য গবেষকরাও জেমসের গবেষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। গর্ভাবস্থায় অল্প মাত্রায় কফি পান করাই যায়, তাঁদের দাবি।