কলকাতা: প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময় পর হাল ছেড়ে দেয় পুলিশ ও প্রশাসন। যথেচ্ছ শব্দবাজি ফাটতে থাকে। এবছর তা করলে আত্মহত্যার সামিল হবে। পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। কালী ও জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন রেল চালানো হবে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্তের ভার রাজ্যের ওপরই ছাড়ল আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। বাজি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্স গড়ার পরামর্শও দিয়েছে বেঞ্চ।
কালীপুজো থেকে ছটপুজো- এবছরের জন্য রাজ্যে সবরকম বাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইতিমধ্যেই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, প্রতিবার আদালত বেশ কিছু নির্দেশ দেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর পুলিশ ও প্রশাসন হাল ছেড়ে দেয়। যথেচ্ছভাবে ফাটতে থাকে শব্দবাজি। কিন্তু এবছর সেটা করলে আত্মহত্যার সামিল হবে। পুলিশকে আরও কড়া হাতে বিষয়টি দেখতে হবে।
গত সপ্তাহে আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করলেও এদিন মামলাকারী বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, কলকাতা সহ বেশ কিছু এলাকায় এখনও অবৈধভাবে বাজি পাওয়া যাচ্ছে। এই বিষয়ে আদালত হস্তক্ষেপ করুক। বিচারপতিরা অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে প্রশ্ন করেন, আপনারা আতসবাজি মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করেছেন? আদালত নির্দেশ দেবে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করবে প্রশাসন। আমরা যদি স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গড়ে দিই, তাতে কি সুবিধা হবে? কিশোর দত্ত বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দেওয়ার সবরকম চেষ্টা করি। শুধুমাত্র চম্পাহাটি থেকে লক্ষাধিক টাকার আতসবাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে, ৯ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। বড়বাজারে রেড হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনাদেরও জানা উচিত, কোথায় কোথায় বাজি পাওয়া যাচ্ছে।
প্রায় সাড়ে সাত মাস পর বুধবার থেকে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। করোনা-আবহে ট্রেন যাত্রায় আসছে একগুচ্ছি পরিবর্তন। এই প্রেক্ষিতে আতসবাজির পাশাপাশি এদিন ট্রেন নিয়ে আদালত বলে, কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন রেল চালানো হবে কি না এবং নির্দিষ্ট এলাকাতে রেলের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে কি না, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্তের ভার রাজ্যের ওপরই ছাড়া হল। রাজ্য সরকার প্রয়োজন বুঝে রেলের সঙ্গে কথা বলে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।