এই ফলে উচ্ছ্বসিত হরিয়ানা কংগ্রেস সভানেত্রী কুমারী শেলজার প্রতিক্রিয়া, এমন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বরোদার বাসিন্দারা কৃষক ও শ্রমিক বিরোধী শক্তিগুলিকে সমুচিত জবাব দিয়েছে। ইন্দু রাজ নারোয়ালের জয় কৃষক, শ্রমিকদের জয়। আমি বরোদার মানুষকে কথা দিচ্ছি, কংগ্রেস তাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
বরোদার উপনির্বাচনের ফলে প্রমাণ, কংগ্রেসের ভূপিন্দর হুডা হরিয়ানার শাসক বিজেপির মনোহরলাল খট্টর ও জেজেপির দূষ্যন্ত সিংহ চৌতালার যৌথ শক্তিকে প্রতিহত করতে সফল হয়েছেন, বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। জাঠ অধ্যুষিত কেন্দ্রটি কব্জা করতে বিজেপি, জেজেপি সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বরোদার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যোগেশ্বর জিতলে মন্ত্রিসভায় সামিল করা হবে। এমনকী তিনি এলাকার উন্নয়নে নিজে নজর দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বোঝা যাচ্ছে, কৃষক সম্প্রদায় অধ্যুষিত এই কেন্দ্রের জনগণ কেন্দ্রের সাম্প্রতিক কৃষিবিল নিয়ে বিজেপির ওপর এতটাই অসন্তুষ্ট ছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারেননি। অন্য়দিকে বরোদা আসনটি ভূপিন্দর হুডার শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। তিনি নিজে প্রচারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন, আর কোনও বড় মাপের কংগ্রেস নেতাকে আসরে নামতে হয়নি।