কলকাতা: ‘ছটপুজো নিষিদ্ধ হোক রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবরে।’ পুজোর ১৫ দিন আগে এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের।


২০১৭ সালে শর্তসাপেক্ষে রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর অনুমতি দেয় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে বলে দেওয়া হয়, এটাই শেষবার! কিন্তু, ২০১৮ সালে বিধি শিকেয় তুলে সেখানে ফের হয় ছটপুজো।


গতবছরও রবীন্দ্র সরোবরে পোস্টার দিয়েই দায়িত্ব সারে কেএমডিএ। তালা ভেঙে রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে দক্ষযজ্ঞ চালায় শয়ে শয়ে মানুষ। তেল, ঘি, ফুল, প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে যায় রবীন্দ্র সরোবরের জল। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবই দেখেছে পুলিশ। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি।


তারপরও এবছর রবীন্দ্র সরোবরে শর্তসাপেক্ষে ছটপুজোর অনুমতি চেয়ে পরিবেশ আদালতে বিশেষ আবেদন জানায় খোদ কেএমডিএ। ১৭ সেপ্টেম্বর, কেএমডিএ-র আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল।


একই মত হাইকোর্টেরও। জনস্বার্থ মামলার ভার্চুয়াল শুনানিতে শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘ছটপুজো নিষিদ্ধ হোক রবীন্দ্র সরোবর, সুভাষ সরোবরে।’


এর পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশ, ছটপুজোর দিন গঙ্গা এবং অন্য জলাশয়ের ঘাটগুলিতে কীভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, তা জানাতে হবে রাজ্যকে।


শুধু পরিবেশ দূষণ নয়, ছটপুজোর নামে রবীন্দ্র সরোবরের সামনে বাজি ফাটানোয় কীভাবে শব্দ দূষণ হয়, তারও সাক্ষী থেকেছে কলকাতার ফুসফুস।


এদিনের শুনানিতে, হাইকোর্টও এও নির্দেশ দিয়েছে যে, করোনা আবহে এবছরের জন্য রাজ্যে সব রকম বাজি নিষিদ্ধ। কালীপুজো, দেওয়ালি এবং ছটপুজোয় বাজি পোড়ানো যাবে না।


অন্যদিকে, জাতীয় পরিবেশ আদালত কেএমডিএ-এর আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে শুনানি ১৬ নভেম্বর।