কলকাতা : হাইকোর্টে স্বস্তি অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। মানিকতলা থানায় দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করল আদালত। "মিঠুনের বলা সংলাপে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রমাণ নেই। রাজনীতির মঞ্চে মনোরঞ্জনের জন্য অভিনেতারা সংলাপ বলেন। ৭ মার্চ ব্রিগেডের মঞ্চে কেন সংলাপ বলেছিলেন তাও স্পষ্ট করেছেন মিঠুন।" এফআইআর খারিজ করে মন্তব্য বিচারপতি কৌশিক চন্দের।


বিজেপির প্রচারে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগে মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মৃত্যুঞ্জয় পাল। মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় চারটি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। ১৬ জুন বিতর্কিত মন্তব্য মামলায় প্রথমবার মিঠুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। ভার্চুয়ালি প্রায় ৪০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল অভিনেতাকে। তাঁর উদ্দেশে ১২টি প্রশ্ন রেখেছিলেন তদন্তকারীরা। মিঠুন চক্রবর্তীর বয়ান রেকর্ড করা হয়। 


ভোটের সময় উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে অভিনেতার বিরুদ্ধে। এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই ওইদিন মিঠুনকে প্রশ্ন করা হয়। কাকতালীয়ভাবে, সেদিন, অর্থাৎ ১৬ জুন ছিল অভিনেতার জন্মদিন। ৭১ বছরে পা দিয়েছিলেন সেদিন। তার আগে অবশ্য, এফআইআর খারিজের দাবিতে হাইকোর্টে যান মিঠুন চক্রবর্তী। হাইকোর্টে খারিজ হয় সেই আবেদন। ভার্চুয়াল জিজ্ঞাসাবাদে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। 


রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে তৃণমূল তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেছিল। কিন্তু মেয়াদের মাঝপথেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন মিঠুন। এরপর ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ভোটের সময় রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিজেপির হয়ে প্রচার করেন তিনি। অনেক রোড শো ও সভা-সমাবেশ করেন। তারকার মেগা প্রচারে বিভিন্ন সভায় তাঁর মুখে শোনা যায় সিনেমার জনপ্রিয় সংলাপ। 


রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময় মিঠুন হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা থানায় মামলা দায়ের করেছিল তৃণমূল। মানিকতলা থানায় দায়ের করা এফআইআরে অভিযোগ করা হয় যে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে ভোটের প্রচারে ব্রিগেড সমাবেশে 'মারবো এখানে লাশ পড়বে শশ্মানে', 'এক ছোবলেই ছবি'-র মতো সংলাপ ব্যবহার করেছেন। এফআইআরে অভিযোগ করা হয়, এই সংলাপগুলি রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার একটি কারণ।