ঋত্বিক প্রধান, এবিপি আনন্দ, পূর্ব মেদিনীপুর:  জল নামলেও যন্ত্রণা কমেনি।  টানা ২ মাস জলের তলায় ছিল বিস্তীর্ণ এলাকা। জল নামলেও সঙ্কট কাটেনি মাদুর-শিল্পীদের। নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবনের জেরে একদিকে যেমন ক্ষতি হয়েছে বসত-বাড়ির, অন্যদিকে মিলছে না মাদুর বোনার কাঠি। যার জেরে চরম অর্থকষ্টে ভুগছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের মাদুর-শিল্পীরা। 


পটাশপুরের গোকুলপুর, বিশ্বনাথপুর, খটিগেড়িয়া, কনকপুর, আদাবেড়িয়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা মাদুর শিল্পের উপর নির্ভরশীল। চলতি বছরে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেসে যায় বিঘার পর বিঘা চাষ জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে গাছ থেকে মাদুর কাঠি হয়, তার চাষও। 

আরও পড়ুন :


'ভাই-দাদা থেকে জেঠু-কাকু হয়েছি' হোমম্যাচে নেমেও প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখছেন না দেবাশিস কুমার


মাদুর শিল্পীদের দাবি, এর ফলে মিলছে না পর্যাপ্ত মাদুর কাঠি। মাদুর শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে কাঁচামাল কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবনের জেরে মাদুর শিল্পের ক্ষতি নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী জানালেন, বন্যার কবলে পড়ে মাদুর শিল্পীরা এখন অসহায়। কিন্তু তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বাংলার সরকার নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থের চেষ্টা করছে। 


পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে মাদুর শিল্পীরা ঋণ পাবেন। 

দীর্ঘদিন জলমগ্ন থাকার ফলে পটাশপুরে ভেঙে পড়েছে পরিকাঠামো। ভেঙে গিয়েছে রাস্তাঘাট, কালভার্ট। জল নেমে যাওয়ার পরেও সমস্যা মেটেনি। উল্টে বেরিয়ে পড়েছে কঙ্কালসার চেহারা। ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ক্ষতিগ্রস্ত বেশকিছু বাড়িও।  খানাখন্দে ভরা রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়েছে কালভার্ট। চলছে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত। ঠিক নেই মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব নিয়ে চরম সমস্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের বাসিন্দারা। প্রশাসনের সাহায্যের দাবি করছেন এলাকাবাসী।  দ্রুত পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে প্রশাসন নজরে দিক, দাবি এলাকার বাসিন্দাদের ।