কলকাতা : "স্বাগত জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সব ডিপার্টমেন্ট নিয়েই তদন্ত হবে।" স্কুলে গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগ (Group D Recruitment) মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই (CBI) অনুসন্ধানের নির্দেশ প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রাথমিক খোঁজখবরের নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে, কমিটি গড়ে এই অনুসন্ধান করবে সিবিআই। কমিটিতে ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিক, যুগ্ম অধিকর্তা পদমর্যাদার আধিকারিক থাকবেন। এই দল তথ্য সংগ্রহ করবে। কারা নিয়োগপত্র দিয়েছিল ? দুষ্কৃতীদের খুঁজে বের করতে হবে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এপ্রসঙ্গে সায়ন্তন বসু বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে একটি সরকার চলছে...আলি মাতা ও চল্লিশ চোর। রাজ্যে শেষে হয়তো দেখা যাবে, তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ, আমলা, সান্ত্রী...তাঁরা সবাই সিবিআইয়ের কাছে পৌঁছচ্ছেন। তৃণমূলের লোকেরা আগে যেমন মিছিল করেছে- আমরা সবাই চোর, সেরকম মিছিল আবার করবে। একটা শুধু ডিপার্টমেন্টের তদন্ত হচ্ছে, আরও কয়েকটা ডিপার্টমেন্টের তদন্ত সিবিআই আর কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু করবে।"
আরও পড়ুন ; গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগ মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়ে আজ বিচারপতি বলেন, "কমিশন সুপারিশ না করলে, কীভাবে নিয়োগপত্র দিল পর্ষদ ? কোন অদৃশ্য হাতে এই সুপারিশ পর্ষদে পৌঁছল, কারাই বা জারি করল?" রাজ্য পুলিশের প্রতি সম্মান রেখেই এই নির্দেশ, জানায় হাইকোর্ট। তদন্ত স্বচ্ছ বলে মানুষের মনে হওয়া উচিত, মন্তব্য হাইকোর্টের।
আরও পড়ুন ; "কারা এর পিছনে আছে তাদের খুঁজতে বলেছে আদালত", গ্রুপ-ডি মামলার নির্দেশ প্রসঙ্গে মন্তব্য বিকাশরঞ্জনের
এর আগে এই ঘটনায় অবশ্য হাইকোর্টের চিন্তাভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্তের সওয়াল করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। স্কুলে নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টে রাজ্যের সওয়ালে বলা হয়, ‘৩জন বিচারপতিকে দিয়েও তদন্ত কমিটি গঠন করা যেতে পারে।