কলকাতা: মু্ম্বইয়ের হাসপাতাল থেকে কলকাতায় নিজের বাসগৃহে আসা, সেখান থেকে টেকনেশিয়ান স্টুডিও হয়ে ঘণ্টাখানেক সময় রবীন্দ্র সদনে শায়িত রাখার পর তাপস পালের দেহ নিয়ে আসা হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানে প্রয়াত অভিনেতাকে গান স্যালুটে বিদায় জানান হল। রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সহ হরনাথ চক্রবর্তীর মতো টলি পরিচালক তাপস পালের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন।


মঙ্গলবার ভোরে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাপসের। মুম্বই থেকে তাঁর দেহ কলকাতায় নিয়ে আসেন মেয়ে সোহিনী পাল। তারপর কিছুক্ষণ কলকাতায় নিজের বাসগৃহে শায়িত রাখা হয় অভিনেতার দেহ। সেখান তাঁকে শেষবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সহ আরও একাধিক টলি তারকা। তারপর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে মরদেহ নিয়ে যাওয় হয় টলিপাড়ার টেকনেশিয়ান স্টুডিওতে। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্রসদনে।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন যাওয়ার আগে রবীন্দ্রসদনে এসে তাপস পালের উদ্দেশে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন এবং কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদের স্ত্রী নন্দিনী ও মেয়ে সোহিনীকে সমবেদনা জানান। এদিন তাপসের এই অকালপ্রয়াণের জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং কেন্দ্র সরকারকে দায়ী করেন তিনি। সুলতান আহমেদ, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী এবং তাপস পাল, এই তিনজনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে কেন্দ্রের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি।


আরও পড়ুন - ‘জানতেও পারল না, ওর অপরাধ কী’, তাপস পালের অকালপ্রয়াণে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা মমতার


এরপরই রবীন্দ্রসদন থেকে তাপস পালের নশ্বর দেহ নিয়ে আসা হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দিয়ে বিদায় জানানো হয় তাপস পালকে।