কলকাতা: প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। বৃহস্পতিবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বঙ্গীয় রাজনীতির ডাকাবুকো নেতা ‘ছোড়দা-র’। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। ইন্দিরা ঘরানার এই কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান বাম নেতা বিমান বসু।



বাম ও কংগ্রেসের জোট রাজনীতিতে সোমন মিত্রের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “সোমেন বাবুর এভাবে চলে যাওয়ায় ক্ষতি হল। বর্তমান রাজনীতিতে সোমেন মিত্রর প্রয়োজন ছিল।”


কোনওরকম দ্বিধা-দ্বন্দ্ব না রেখেই বিমান এও বলেন, সোমেন মিত্রর প্রয়াণে তৃণমূল ও বিজেপি-র বিরুদ্ধে জোট তৈরিতেও খানিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তাঁদের। একই সঙ্গে এদিন স্মৃতিচারণা করে সিপিআইএম পলিটব্যুরোকে বলতে শোনা যায়, “আমি সোমেন বাবুকে চিনি আপাদমস্তক একজন কংগ্রেসী মানুষ হিসেবেই। বাড়ি ছেড়ে চলে আসার পর প্রমোদ দাশগুপ্ত যেখানে থাকতেন, সেখানেই থাকতে শুরু করি। সেখানে এসেই ভাইয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণ করেছিলেন। আমি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলাম। সেই থেকেই তাঁর সঙ্গে আমার সখ্যতা।”


সম্প্রতি বিমান বসুর জন্মদিনে তাঁকে ৮০টি গোলাপ পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সোমেন মিত্র। বিধান ভবন থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে এই গোলাপ প্রেরণ নেহাত সৌজন্যই নয়, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। ওয়াকিবহল মহলের একাংশের মতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট তৈরির নেপথ্যে এই দুই বিপরীত ধর্মী রাজনীতিকের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। আজ এক জনের মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই সেই প্রক্রিয়া খানিক ধাক্কা খেল। যা অবলীলায় মেনে নিয়েছেন স্বয়ং বিমান বসুও। যদিও আরেক সিপিআইএম পলিটব্যুরো মহম্মদ সেলিম আশাবাদী, সোমেন পরবর্তী কংগ্রেস নেতারা রাজনৈতিক স্বার্থেই ‘জোটধর্ম’-কে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।