টরন্টো: খালিস্তানপন্থী শিখ নেতার মৃত্যুতে সংঘাত দেখা দেয় দুই দেশের মধ্যে। এবার সরাসরি ভারতকে 'বিদেশি উপদ্রবকারী' বলে উল্লেখ করল কানাডা।  ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে অযাচিত ভাবে হস্তক্ষেপ করেছে বলে দেশবাসীকে সতর্ক করল জাস্টিন ত্রুদোর সরকার। কানাডার এই অভিযোগ নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি দিল্লি। (Canadian Security Intelligence Service)


কানাডার গুপ্তচর সংস্থার তরফে জমা দেওয়া একটি গোপন রিপোর্টে এমন দাবি করা হয়েছে বলে খবর সেদেশের সংবাদমাধ্যমে। ওই রিপোর্টকে উদ্ধৃত করে কানাডার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারত 'বিদেশি উপদ্রবকারী' শক্তি। কানাডার নির্বাচনে তারা হস্তক্ষেপ করেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রক্ষা করতে কানাডা সরকারের আরও সচেষ্ট হওয়া দরকার বলেও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। নইলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। (India Canada Relations)


খালিস্তানপন্থী শিখ নেতার মৃত্যু নিয়ে এর আগে ভারতকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন ত্রুদো। ভারত সরকারের মদতে ভারতীয় এজেন্টরা কানাডার মাটিতে হিংসা, রক্তপাত ঘটিয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেনয়। তবে দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এই প্রথম। এর আগে, চিন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধেও নির্বাচনে অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলে কানাডা সরকার। 


আরও পড়ুন: US Airstrikes: ফের যুদ্ধের মেঘ পশ্চিম এশিয়ার আকাশে, ইরাক-সিরিয়ায় বোমাবর্ষণ আমেরিকার


ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে 'ফরেন ইন্টারফেয়ারেন্স অ্যান্ড ইলেকশন্স: আ ন্যাশনাল সিকিওরিটি অ্যাসেসমেন্ট' শীর্ষক ২০২২ সালের অক্টোবর মাসের ওই রিপোর্টটি সামনে এসেছে। ওই রিপোর্টে ভারতকে 'থ্রেট' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিদেশি হস্তক্ষেপে দেশের গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে চিনকে 'সবচেয়ে বিপজ্জনক' বলেও উল্লেখ করা হয় একটি রিপোর্টে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী ত্রুদো এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।


ভারত এবং কানাডার সম্পর্ক বেশ কিছু দিন ধরেই তিক্ত। বিশেষ করে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে ভারতের দিকে সরাসরি আঙুল তোলেন ত্রুদো। ভারতীয় গুপ্তচরেরা কানাডার মাটিতে হিংসা ঘটাচ্ছে বলে দাবি করেন। সেই নিয়ে চরমে ওঠে টানাপোড়েন। ভারত গোড়া থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। কানাডাই বরং ভারতবিরোধীদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে বলে দাবি দিল্লির। সেই আবহেই এবার ভারতের বিরুদ্ধে আরও মারাত্মক অভিযোগ তুলল কানাডা। এ নিয়ে দিল্লির তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।