নয়াদিল্লি: ভারতে থালা-বাসন বা ঘন্টা-কাঁসর বাজিয়ে,হাততালি দিয়ে নোভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের দিনরাত এক করে সেবা করে চলা ডাক্তার, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মী ও নানা জরুরি পরিষেবায় যুক্ত লোকজনের অবদান, ভূমিকা স্মরণ করে তাঁদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালের ওপর কয়েকদিন আগে ভারতীয় বায়ুসেনার কপ্টার থেকে পুষ্পবৃ্ষ্টি করেও চিকিত্সক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতের মতো কানাডাও জরুরি পরিষেবায় জড়িতদের অবদানকে স্বীকৃতি দিল।প্রাণের ঝুঁকি নিয়েও করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে জনসেবা, জরুরি পরিষেবা চালিয়ে যাওয়া সামনের সারির কর্মীদের জন্য অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়ে নজির তৈরি করল কানাডা। কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে কর্মরত এই অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা দিয়ে চলা লোকজনের বেতন বাড়াল তারা। পূর্বপ্রতিশ্রুতি রক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ঘোষণা করেছেন, আপনারা নিজেদের জীবন ঝুঁকির মুখে ঠেলে এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, ন্যূনতম বেতন পাচ্ছেন, আপনাদের বেতন বৃদ্ধি প্রাপ্য। আপনারা এটা দাবি করতেই পারেন।
ট্রুডোর সরকার সব প্রদেশ, অঞ্চলের প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তি করেছে, যাতে আরও ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে মাসে ১৮০০ মার্কিন ডলারেরও কম পাওয়া জরুরি পরিষেবা কর্মীদের বেশি মাইনে দেওয়া যায়। ট্রুডা বলেছেন, আমার মনে হয়, এই অতিমারীর সময়ে যেসব বিষয় পরিষ্কার হয়ে উঠেছে, সেগুলির অন্যতম হল, প্রচুর মানুষ আর্থিক ভাবে ভীষণ দুর্বল, বিপন্ন,আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় আরও নানা দিক থেকেও পিছিয়ে আছেন, অথচ সমাজটাকে সচল রাখায় তাঁরা বিরাট গুরুত্বপূর্ণ।
কানাডার বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা কর্মী ইউনিয়ন সরকারের এহেন পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে। এমন উদ্যোগের কথা বহুদিন ধরেই ভাবা হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হল।

এদিকে কানাডায় করোনা সংক্রমণ অব্যাহত। শুক্রবার পর্যন্ত মোট সংক্রমণ হয়েছে ৬৬৪২৫টি, মারা গিয়েছেন ৪৫৬৯ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত, মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে কুইবেক, ওন্তারিও থেকে। কানাডায় সবচেয়ে জনবহুল এই দুটি প্রদেশ। ১ লাখের বেশি করোনাভাইরাস টেস্ট হয়েছে, সুস্থ হয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি লোক।