রাহুল জনসভায় মোদিকে আক্রমণের সুর চড়িয়ে বলেছেন, উনিও জানেন মিথ্যে বলছেন, জনগণও সেটা ভালোই বোঝে। তাই তো প্রধানমন্ত্রী আর এখানে এসে দু কোটি চাকরি দেওয়ার কথা বলছেন না। কারণ উনি জানেন ওটা বললে লোকে তাড়া করবে। কংগ্রেস কিন্তু জানত, কীভাবে দেশ চালাতে হয়। আমরা মনরেগা এনেছিলাম, কৃষিঋণ মকুব করেছিলাম। দেশের কৃষক, শ্রমিকদের পাশে সবসময় ছিলাম। শুধু ওনার মিথ্যাচারের সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে আমরা পিছিয়ে পড়েছি।
নোটবন্দিকে গরিবের পকেট কেটে বড়লোকের পক্ষে কাজে লাগানোর ফন্দি বলে জানিয়ে রাহুলের অভিযোগ, নোটবন্দির পর আপনারা ব্যাঙ্কের লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা জমা করেছেন। আর সেই টাকা কাজে লাগিয়ে মোদি ভারতের সবথেকে বড়ো ব্যবসায়ীদের সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মকুব করেছেন। লকডাউনেও কার্যত একই পদ্ধতির পুনরাবৃত্তি দেখা গিয়েছে।
শুধু মোদি নন, বিহারের গত তিন দফার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেও নিশানা করেন রাহুল। বিহারের তরুণদের কর্মসংস্থানের অভাবের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলের বক্তব্য, বিহারে আপনারা চাকরি পাবেন না। এরাজ্যে যুবসমাজ বা কৃষকদের কোনও ভুল নেই, আসলে সমস্যাটা হল যে আপনাদের মুখ্যমন্ত্রীর নাম নীতীশ কুমার। ওনারা আপনাদের সত্যি কথা বলবেন না। আর মোদি তো প্রত্যেক বছর ২ কোটি চাকরির মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য আছেনই।
লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরার মুখে নীতীশ প্রশাসনের আটকে দেওয়ারও নিন্দা করে কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান বলেছেন, লকডাউনের সময় লাখ লাখ বিহারের শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরতে চেয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে কীরকম ব্যবহার করা হয়েছিল, আশা করি ভোট দেওয়ার আগে সেটা মাথায় রাখবেন।
বক্তব্যের শেষপর্বে ফের মোদির দিকে নিশানা ঘুরিয়ে রাহুল বলেছেন, পঞ্জাবে দশেরায় মোদির কুশপুতুল পুড়িয়েছেন কৃষকরা। যা দেখে খারাপ লেগেছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশের কৃষক, যুবসমাজ ঠিক কতটা রেগে আছে, এটা তারই নিদর্শন।