নয়াদিল্লি: ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত রাজধাানী। জলস্তর বেড়ে রীতিমতো ফুঁসছে যমুনা। সেই আবহে দিল্লিতে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে কনজাঙ্কটিভাইটিস (Conjunctivitis  Cases)। দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় রোজই কনজাঙ্কটিভাইটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রচুর মানুষ। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এ রোজ কমপক্ষে ১০০ কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত রোগী আসছেন বলে জানা গিয়েছে (Conjunctivitis in Delhi)। 


বর্ষার মরশুমে এমনিতে ফ্লু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়


AIIMS-এর অপথ্যালোমিক সেন্টারের প্রধান, চিকিৎসক জেএস টিটিয়াল সংবাদমাধ্যমে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, "রোজ কমপক্ষে ১০০ কনজাঙ্কটিভাইটিস আক্রান্ত রোগী আসছেন। বর্ষার মরশুমে এমনিতে ফ্লু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এবার পাল্লা দিয়ে কনজাঙ্কটিভাইটিস রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাইরাস থেকেই এমংন পরিণতি।"


মূলত বর্ষার মরশুমেই কনজাঙ্কটিভাইটিসের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। চোখ লাল হয়ে যাওয়া, করকর করা, চোখ থেকে জল এবং তরল নিঃসরণের উপসর্গ দেখা যায়। দিল্লিতে এবছর তার বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ছে। দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতাল জাানিয়েছে, দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত ১০৩২ রোগী এসেছেন তাদের কাছে। গোটা দেশ থেকে এসেছেন ১৫২১ রোগী।


আরও পড়ুন: No Trust Motion: মণিপুর হিংসা নিয়ে কোণঠাসা কেন্দ্র, সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিল কংগ্রেস


শার্প সাইট আই হাসপাতালের ডিরেক্টর সমীর সুদ জানিয়েছেন, গত বছর এই সময় যত কনজাঙ্কটিভাইটিস রোগী ছিলেন, এবর সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। গত বছর দিল্লি এবং সংক্রান্ত এলাকা থেকে ৬৪৬ জন এবং গোটা দেশ থেকে ১২০২ জন রোগী এসেছিলেন তাঁদের কাছে। সংক্রমণ যাতে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি না পায়, তার জন্য সচেতনতা অভিযান চালানো প্রয়োজন বলে মত চিকিৎসকদের।


কনজাঙ্কটিভাইটিস এড়াতে কী করবেন, কী করবেন না


কনজাঙ্কটিস এড়াতে কী কী মেনে চলা উচিত, তাও বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের মতে-


১) কনজাঙ্কটিভাইটিস এড়াতে পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকে আগে হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে হবে।


২)কনজাঙ্কটিভাইটিস হয়েছে এমন রোগীদের থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। 


৩) কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে চোখ ঢেকে রাখতে হবে কালো গগলসে। 


৪) সংক্রমিত হলে জলে সাঁতার কাটা চলবে না। 


৫) অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।


৬) বার বার চোখে হাত দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত অবশ্যই। 


৭) ছোটদের কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে, কয়েকদিন তাদের স্কুলে না পাঠানোই উচিত, যাতে সংক্রমণ অন্যদের মধ্যে ছড়াতে না পারে।


৮) শপিং মল বা ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলা উচিত এই সময়। 


৯) বাইরে বেরোতে হলেও সিঁড়ির রেলিং, দরজর হাতল স্পর্শ না করাই শ্রেয়। 


১০) কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক আইড্রপ ব্যবহার করতে হবে।


১১) এই সময় পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে তোয়ালে, আই মেকআপের সরঞ্জাম ভাগ করে নেওয়া যাবে না, অন্যথায় সামনের জনও সংক্রমিত হতে পারেন।