চেন্নাই: ২০ দিনের ওপর হয়ে গেল চেন্নাই বিমানবন্দরে চিন থেকে আসা একটি বিড়ালকে ঘিরে বিতর্ক। করোনাভাইরাসে সংক্রামিত সন্দেহে বিড়ালটিকে ফেরত পাঠানোর প্রস্তাবে বিতর্ক ঘনিয়ে উঠেছে। চিন থেকে কন্টেনারে নিয়ে আসা হয়েছিল সেটিকে। এখন তাকে চিনেই ফেরত পাঠানোর কথা উঠেছে। চেন্নাইয়ে কোয়ারান্টাইন অর্থাত্ আলাদা করে রেখে পর্যবেক্ষণ করার সেন্টারের সুপারিশ, যে দেশ থেকে আনা হয়েছিল, সেখানেই ফেরত পাঠানো হোক বিড়ালটিকে। কিন্তু এতে প্রবল আপত্তি তুলে প্রাণী সুরক্ষা সংগঠন পেটা বলেছে, করোনাভাইরাস নিয়ে অজ্ঞতার ফলে চিনে পাঠানো হলে বিড়ালটিকে হয়তো বাঁচানো যাবে না।
পেটার পশু চিকিত্সা পরিষেবা সংক্রান্ত ভারতের ম্যানেজার রশমি গোখেল চেন্নাই বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে দাবি করেছেন, এটা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে প্রমাণিত যে, বিড়ালের কোভিড-১৯ হয় না বা নোভেল করোনাভাইরাস থেকে হওয়া এই রোগ তাদের মাধ্য়মে ছড়ায়ও না। আমেরিকা ভেটেরিনারি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, একাধিক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংগঠন বলেছে, পোষা জন্তুজানোয়ার ও অন্য গৃহপালিত প্রাণীদের কোভিড-১৯ এ সংক্রামিত হওয়ার বিপদ, আশঙ্কা নেই।
পেটা আরও বলেছে, বিড়ালটি কোথায় জাহাজে উঠেছিল, তা স্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত করা খুব কঠিন হবে। চিন থেকে ভারত আসার পথে জল, খাবার ছাড়া সেটি ১০-২০ দিন বেঁচে রয়েছে, এমন না হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল।
চিন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে ছাড়া জাহাজ সিঙ্গাপুর, কলম্বো ও আরও কিছু বন্দরে থামে। সব জায়গাতেই জাহাজের কন্টেনার থেকে মালপত্র নামানো হয়। ফলে এমনটা হতেই পারে যে, বিড়ালটি কোনও না কোনও বন্দরে, যেখানে জাহাজটি থেমেছিল, তাতে উঠে পড়েছিল।
পেটার অভিমত, চিনে প্রায়ই মাংস, পশমের জন্য বিড়াল হত্যা করা হয়, সুতরাং এই বিড়ালটি সেখানে গেলে তারও এই পরিণতি হতে পারে।
পেটা বলেছে, কোয়ারান্টাইনে পাঠিয়ে নজরদারি চালিয়ে শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা, প্রয়োজনীয় টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর বিড়ালটি যাতে ভারতে স্থায়ী নিরাপদ আশ্রয় পায়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করতে তারা রাজি।