এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কপিল বলেছেন, ‘একটি নির্দিষ্ট বয়স হলে, কারও বয়স ৩০ বছর পেরিয়ে গেলে দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে। আগে স্যুইং বলে বিরাটের শক্তি ছিল। ও স্যুইং বলে ফ্লিক করে বাউন্ডারি মারত। কিন্তু এখন ও দু’বার আউট হয়ে গেল। তাই আমার মনে হয়, ওর দৃষ্টিশক্তির সমস্যা থাকলে সেটা ঠিক করে নেওয়া উচিত।’
নিউজিল্যান্ড সফরে ১১ ইনিংসে বিরাটের রান মাত্র ২১৮। টেস্ট সিরিজে তিনি মাত্র ৯.৫০ গড়ে করেন ৩৮ রান। ভারতের অধিনায়কের এই শোচনীয় ফর্ম প্রসঙ্গে কপিল বলেছেন, ‘বড় খেলোয়াড়রা যখন ইনকামিং ডেলিভারিতে বোল্ড বা এলবিডব্লু হতে শুরু করে, তখন আরও বেশি অনুশীলন করার পরামর্শ দিতে হয়। এর অর্থ হল, রিফ্লেক্স ও দৃষ্টিশক্তি কমে গিয়েছে। সেটা হলে মুহূর্তের মধ্যে কারও শক্তি তার দুর্বলতায় পরিণত হয়। ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি সবচেয়ে ভাল অবস্থায় থাকে। তারপর দৃষ্টিশক্তির যত্ন নিতে হয়। বীরেন্দ্র সহবাগ, রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিয়ান রিচার্ডসের মতো খেলোয়াড়রাও একই সমস্যায় পড়েছিলেন। তাই বিরাটের আরও বেশি অনুশীলন করা দরকার। দৃষ্টিশক্তি কমে গেলে টেকনিক আরও শক্তিশালী করতে হবে।’
কপিল আরও বলেছেন, ‘আশা করি বিরাটকে সাহায্য করবে আইপিএল। ও খেলায় ফিরবে। ও অসাধারণ ক্রিকেটার। ও নিশ্চয়ই নিজেকে বুঝতে পারবে এবং ফর্মে ফেরার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’