একদিকে যখন ভয়, উদ্বেগ ছড়াচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইট করে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিলেন। তিনি বলেছেন, ভয় না পেয়ে সকলের একসঙ্গে কাজ করার সময় এটা। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। আমাদের একসঙ্গে কাজ করা দরকার, আত্মরক্ষায় ছোট ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। পাশাপাশি তিনি করোনাভাইরাস মোকাবিলার প্রস্তুতির মাত্রা খতিয়ে দেখতে একাধিক মন্ত্রক ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে ‘বিস্তারিত রিভিউ’ করেছেন বলেও জানান। ভারতে আসা লোকজনকে স্ক্রিনিং অর্থাত বেছে আলাদা করা থেকে দ্রুত চিকিত্সার বন্দোবস্ত করা-বিভিন্ন মন্ত্রক ও রাজ্য একযোগে এ ব্যাপারে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন মোদি।
এই মারণ ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকাতে একেবারে প্রাথমিক প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাগুলি উল্লেখ করে একটি ছবিও ট্যুইটে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত ব্যবস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে ঘনঘন হাত ধোয়া, হাঁচি-কাশি এলে টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে ফেলা।
করোনাভাইরাসকে সার্স-কোভ ২ নাম দেওয়া হয়েছে। এর থেকে হওয়া রোগকে কোভিড-১৯ নাম দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
২টি নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর আসায় আরও বেশ কিছু এধরনের নমুনা আগাম অনুমান করে ভারত প্রস্তুতি নিয়েছে আগে থেকেই। সরকার ঘোষণা করেছে, মঙ্গলবার বা তার আগে ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের নাগরিকদের দেওয়া রেগুলার ও ই-ভিসা বাতিল করা হয়েছে। চিনা নাগরিকদের ৫ ফেব্রুয়ারি বা তার আগে ইস্যু করা ভিসার ওপর সাসপেনশনও বহাল থাকছে। এছাড়া ১ ফেব্রুয়ারি বা তার পর জারি হওয়া অন্য সব বিদেশি নাগরিকের ও করোনাভাইরাসে প্রভাবিত দেশগুলিতে যাঁরা আছেন, তাঁদের ভিসাও স্থগিত থাকছে।