কলকাতা : গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রর মা-বাবার খোঁজ করছে সিবিআই। সূত্রের খবর, বিনয় মিশ্রর বাবা তেজবাহাদুর ও মা ললিতা মিশ্রর বিমানবন্দরে গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য জানতে অভিবাসন দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও এই চিঠি সম্পর্কে কিছু জানা নেই বলে দাবি করেছেন বিনয় মিশ্রর আইনজীবী।


এক ছেলে বিনয় মিশ্র ফেরার। আরেক ছেলে বিকাশ স্বাস্থ্যের কারণে জামিনে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে গরু পাচারকাণ্ডে অভযুক্ত বিনয়ের মা-বাবার খোঁজ করছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ বার নোটিস পাঠানো হয়েছে বিনয়ের বাবা তেজবাহাদুর মিশ্র ও মা ললিতাকে। কিন্তু তাঁরা একবারও হাজিরা দেননি। বিনয়ের বাবা-মা কোথায় গেছেন, সেই খোঁজ নিতে এবং বিমানবন্দরে তাঁদের গতিবিধি সম্পর্কে জানতে অভিবাসন দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই।


কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সিবিআই জানতে পেরেছে, বিনয়ের বাবা-মা এখন কলকাতায় নেই। তাঁরা কোথায় যেতে পারেন, সে বিষয়েই খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। যদিও বিনয় মিশ্রের আইনজীবী জানিয়েছেন, অভিবাসন দফতরকে দেওয়া সিবিআইয়ের চিঠি সম্পর্কে তাঁদের কিছু জানা নেই। 


এদিকে, বিনয়ের ভাই বিকাশ মিশ্র বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন।  তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। স্বাস্থ্যের কারণে জামিনে রয়েছেন বিকাশ। জামিন পাওয়ার পর এদিনই প্রথম তিনি সিবিআই দফতরে যান। ইতিমধ্যে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে বিকাশের জামিন খারিজের আবেদন করেছে সিবিআই। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে বিকাশকে হাজির থাকতে বলেছে আদালত।


গরু পাচার থেকে শুরু করে কয়লা পাচার-- একাধিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র। সম্প্রতি সূত্র মারফত জানা যায়, বাবাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি না কি এখন লুকিয়ে রয়েছেন ভানুয়াতুতে। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানে নীল জলে ঘেরা স্বর্গের মতো সাজানো ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতু। কলকাতা থেকে যার দূরত্ব প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কিলোমিটার। সিবিআই সূত্রে দাবি, কলকাতা থেকে পালানোর পর, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বিনয় মিশ্র দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাসে তাঁর পাসপোর্ট সারেন্ডার করার জন্য আবেদন করেন। সেখানে তিনি জানান, দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নেওয়ায় তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট ছাড়তে চান। সেই আবেদনপত্রে বিনয় মিশ্র দুবাইয়ের একটি ঠিকানা ও ফোন নম্বরও উল্লেখ করেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি,  এরপর ২২ ডিসেম্বর দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাস পাসপোর্ট সারেন্ডার সার্টিফিকেট ইস্যু করে। এই দু’টি নথিই সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।