শুভেন্দু ভট্টচার্য, দিনহাটা: ধারে লটারি টিকিট কেটে কোটিপতি হলেন দিনহাটার এক সাধারণ অ্যাম্বুল্যান্স চালক। 


দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের গোবড়াছড়া নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ভরানী প্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল হক মাঝেমধ্যেই দিনহাটা মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার লটারি টিকিট বিক্রেতা সুব্রত দেব রায়ের কাছ থেকে টিকিট কাটতেন। 


কখনও সামনা-সামনি টিকিট নিয়ে টাকা দিতেন আবার কখনও বাইরে থাকলে হোয়াটসঅ্যাপে টিকিট এর ছবি পাঠিয়ে দিতেন, পরে রফিকুল টাকা দিয়ে দিতেন সুব্রত দেব রায়কে। 


আজও ঠিক তাই হয়েছিল, আজ বিকেলে রফিকুল হকের কথা মতো একটি টিকিট হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেন টিকিট বিক্রেতা সুব্রত দেব রায়। কিছুক্ষণ পর সেই টিকিটে প্রথম পুরস্কার ১ কোটি টাকা ওঠে। 


এরপরই ফোন করে রফিকুলকে খবর দেন সুব্রত। তড়িঘড়ি ছুটে আসেন রফিকুল। পরে দিনহাটা থানায় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রফিকুল ও সুব্রত। 


এত টাকার লটারি পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশী রফিকুল। এদিন তিনি বলেন, এটা পুরোটাই বিশ্বাস। কারণ, আমার এই টিকিট বিক্রেতার কাছেই ছিল। তাঁকে আমি টাকাও দিইনি। শুধু আমার মুখের কথায় টিকিট রেখে দিয়েছিলেন তিনি। তবে এত টাকা দিয়ে কী করবেন, এখনও ঠিক করতে পারেননি রফিকুল। 


অন্যদিকে, লটারি টিকিট বিক্রেতা সুব্রত দেব রায় বলেন, “আমি প্রায়ই ফোনে কিংবা হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে রফিকুলের কাছে টিকিট বিক্রি করতাম। আজও যখন রফিকুলকে ফোন করেছিলাম, তখন ও বলল দাদা আমার জন্য একটি টিকিট রেখে দাও। সেই মতো একটি টিকিট রেখে দিই। এরপর খেলা হলে সেই টিকিট প্রথম পুরস্কার পায়। তড়িঘড়ি রফিকুলকে ফোনে গোটা বিষয়টি জানাই।”


সম্প্রতি, ৩০ টাকার লটারি কেটে নিজেই কোটিপতি হয়ে যান পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের লটারি ব্যবসায়ী রামকৃষ্ণ দাস। অন্য এক লটারি বিক্রেতার কাছ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিট কেটে নিজের ভাগ্যপরীক্ষা করেন। রাতেই তাঁর কাছে খবর আসে তিনি নাকি কোটিপতি হয়ে গেছেন।