নয়াদিল্লি: সংসদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন তিনি। সেই নিয়ে লোকসভার জেনারেল সেক্রেটারির হলফনামাও তলব করেছে শীর্ষ আদালত। সেই আবহেই লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত, তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে তদন্তে এগোল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI. লোকসভার নীতি কমিটির থেকে মহুয়ার বিরুদ্ধে তৈরি করা রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। টাকার বিনিময়ে সংসদে আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে মহুয়াকে। নীতি কমিটির তৈরি রিপোর্টের ভিত্তিতেই সাংসদপদ খুইয়েছেন মহুয়া (Cash for Query)। নীতি কমিটির তৈরি সেই রিপোর্টই খতিয়ে দেখতে চান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। (CBI)


CBI-এর তরফে রিপোর্ট চেয়ে আবেদন জানানো হলে, লোকসভা সেক্রেট্যারিয়টের তরফে। এখনও পর্যন্ত সেই রিপোর্ট তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুরোধ পর্যালোচনা করে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানা গিয়েছে। দিল্লির একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, CBI-এর লিখিত আবেদন এসে পৌঁছেছে লোকসভা সেক্রেট্যারিয়টে। তবে পর্যালোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  


মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য CBI-কে চিঠি দিয়েছিলেন লোকপাল, তার ভিত্তিতেই মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নেমেছে CBI. লোকসভা সেক্রেট্যারিয়ট যদি নীতি কমিটির তৈরি রিপোর্ট তাদের হাতে তুলে দেয়, তাহলেই দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অনুচ্ছেদ ১৭ A-এর আওতায় মহুয়ার বিরুদ্ধে অপরাধ ধারায় FIR দায়ের করে তদন্ত শুরু করতে পারবে CBI. 


আরও পড়ুন: Adani Group Drone: ঝড়-ঝাপ্টা সয়ে একটানা ৩৬ ঘণ্টা নজরদারিতে সক্ষম, নৌবাহিনীর জন্য ড্রোন আনল আদানি গোষ্ঠী


সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয় মহুয়াকে। নীতি কমিটির রিপোর্টে তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। সেই নিরিখেই মহুয়ার সাংসদপদ খারিজ হয়। নীতি কমিটির ওই রিপোর্টে মহুয়া 'অনৈতিক আচরণ' করেছেন বলে দাবি করা হয়। মহুয়ার বিরুদ্ধে আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং কঠোর বিধি মেনে তদন্তের সুপারিশও করে নীতি কমিটি। দ্রুত তদন্ত শেষ করার কথাও বলা হয় রিপোর্টে।


ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির থেকে প্রাপ্ত টাকা এবং দামি উপহারের বিনিময়ে মহুয়া সংসদে লাগাতার আদানিদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপি-র সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সংসদে প্রশ্নোত্তর জমা দেওয়ার ওয়েবসাইটের আইডি এবং পাসওয়র্ড-ও মহুয়া বাইরের লোকের সঙ্গে শেয়ার করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মহুয়ার সাংসদপদ খারিজ হয়। যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, তদন্ত ছাড়াই মহুয়ার সাংসদপদ আগেভাগে খারিজ করে দেওয়া যুক্তিহীন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধু আদানিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলেই মহুয়াকে কোপে পড়তে হল বলেও দাবি তাঁদের।