কলকাতা: গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের পাসপোর্ট স্যারেন্ডার ইস্যুতে সমস্ত তথ্য চেয়ে বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হল সিবিআই। দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাসে কীভাবে তিনি পাসপোর্ট স্যারেন্ডার করেন? সেই সময় কী কী নথি জমা দিয়েছিলেন? সে সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে বিদেশ মন্ত্রককে চিঠি দিল সিবিআই। 


প্রায় ৬ মাস ধরে বেপাত্তা, গরু ও কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র। তাঁকে হন্যে হয়ে ঘুরছে সিবিআই।  এমনকি সিবিআই-এর আবেদনে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশও জারি করেছে ইন্টারপোল। কিন্তু কিছুতেই তাঁর টিকি পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য আসা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে। আগে জানা গিয়েছিল দুবাইয়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন বিনয় মিশ্র।


রবিবার সিবিআই সূত্রে খবর পাওয়া যায় দুবাই থেকে প্রায় ১৩ হাজার কিলোমিটার দুরে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে লুকিয়ে রয়েছেন তিনি। সিবিআই সূত্রে দাবি, কলকাতা থেকে পালানোর পর, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর বিনয় মিশ্র দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাসে তাঁর পাসপোর্ট সারেন্ডার করার জন্য আবেদন করেন। সেখানে তিনি জানান, দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নেওয়ায় তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট ছাড়তে চান। সেই আবেদন পত্রে বিনয় মিশ্র দুবাইয়ের একটি ঠিকানা ও ফোন নম্বরও উল্লেখ করেন।


কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, এরপর ২২ ডিসেম্বর দুবাইয়ের ভারতীয় দূতাবাস পাসপোর্ট সারেন্ডার সার্টিফিকেট ইস্যু করে। তাতে বলা হয়, অন্য দেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার জন্য বিনয় মিশ্র তাঁর ভারতীয় পাসপোর্ট সারেন্ডার করেছেন।  দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে কমবেশি ৮০টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে তৈরি ভানুয়াতু। অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্র দুবাইয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট জমা দিয়ে লুকিয়ে রয়েছেন প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুতে। তিনি ওই দ্বীপরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়। এই তথ্য পেয়ে বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিবিআই। এবার বিনয় মিশ্রর স্যারেন্ডার সংক্রান্ত একাধিক তথ্য চাইল সিবিআই।