আগরতলা : বিভিন্ন অপরাধের তদন্ত করে তারা। অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসতে তাদের জুড়ি মেলা ভার। সেই সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসেই কি না এবার চুরি করল অজ্ঞাতপরিচয় একদল দুষ্কৃতী ! ত্রিপুরার আগরতলার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে। ১১ ফেব্রুয়ারি চুরির ঘটনা সামনে আসে। কড়া নিরাপত্তায় মোড়া সিবিআইয়ের শ্যামলী বাজার কোয়ার্টার চত্বরে সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছতেই চুরির বিষয়টি সামনে আসে। তাঁরা গিয়ে দেখেন, অফিস সমস্ত জিনিসপত্র এবং আসবাবপত্র সম্পূর্ণ চুরি করে নেওয়া হয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম NDTV-র খবর অনুযায়ী, স্টিলের আলমারি, চেয়ার, বৈদ্যুতিক সামগ্রী, দরজা ও জানালা সমস্ত কিছু চুরি করে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। কার্যত পুরো অফিস ফাঁকা করে দিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। গত পাঁচ মাস ধরে ওই অফিস চত্বর বন্ধ পড়েছিল।

Continues below advertisement

শুরু তদন্ত

সিবিআই ইন্সপেক্টর অনুরাগ এই মর্মে অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রাথমিক তদন্তের পর দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ধৃতদের নাম- বিপ্লব দেববর্মণ ও রাজু ভৌমিক। আগরতলার শেষ প্রান্তে শ্যামলী বাজার ও খেজুর বাগান এলাকা থেকে আরও চার সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ৮টি স্টিলের আলমারি উদ্ধারও করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সাতটি কাঠের চেয়ার, চারটি জানালা, একটি গিজার ও চারটি চেয়ারও উদ্ধার করা হয়েছে। 

Continues below advertisement

চুরি যাওয়া আরও সামগ্রী উদ্ধারের জন্য বা আরও বড় কোনও কারণে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল কি না তা নিশ্চিত করে জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে যাদের পাকড়াও করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন আবার মাদকাশক্ত। এমনই খবর সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের।

সিবিআই-সংক্রান্ত অন্য খবর

এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে জাল নথি জমা দিয়ে নিয়োগের মামলায় অন্তত ৩০ জনের নাম সামনে এসেছে। ITBP, অসম রাইফেলস, CISF, BSF, SSB পাঁচটি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এই মর্মে চিঠি দিয়েছে CBI। আশঙ্কা, জাল নথি জমা দিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বাহিনীতে চাকরি পেয়েছে ওই ৩০ জন। কী নথি জমা দেওয়া হয়েছে, তার তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে CBI। রাজ্য সরকারের মহকুমা শাসকের অফিস এবং যারা SC-ST সার্টিফিকেট তৈরি করে তাদের কাছ থেকেও তথ্য চাওয়া হয়েছে। ব্যারাকপুরের প্রাক্তন SDO কে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ। ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে একজনকে।