নয়াদিল্লি: স্ত্রীর নিষ্ঠুর আচরণ থেকে নিষ্কৃতী পেলেন তারকা শেফ কুণাল কপূর (Celebrity Chef Kunal Kapur)। বিবাহবিচ্ছেদে পেলেন বিচ্ছিন্না স্ত্রীর থেকে। দিল্লি আদালত বিবাহবিচ্ছেদের আইন মঞ্জুর করেছে। কুণালের প্রতি তাঁর স্ত্রীর আচরণ সম্মান এবং সহানুভূতি বর্জিত বলে জানিয়েছে আদালত। কুণালের প্রতি তাঁর স্ত্রীর আচরণ নিষ্ঠুর ছিল বলেও আদালত মেনে নিয়েছে। (Kunal Kapur)
'মাস্টারশেফ'-এর বিচারক হিসেবেও জনপ্রিয় কুণাল। এর আগে ফ্যামিলি কোর্টে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে তাঁর আবেদন মঞ্জুর হয়নি। এর পর উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন কুণাল। মঙ্গলবার সেই আবেদনের শুনানি চলাকালীন আদালত জানায়, জীবনসঙ্গীর বিরুদ্ধে জনসমক্ষে অপরিণামদর্শী, মানহানিকর, অপমানসূচক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা নিষ্ঠুরতা বলে আইনত স্বীকৃত।
সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে আদালত বলে, "এই মামলায় যে সমস্ত তথ্য় উঠে এসেছে এখনও পর্যন্ত, তাতে আবেদনকারীর (স্বামী) প্রতি উত্তরদাত্রীর (স্ত্রী) আচরণ সম্মান এবং সহানুভূতি বর্জিত হলে অনুধাবন করেছি আমরা। জীবনসঙ্গীর প্রতি এমন আচরণে বিবাহিত সম্পর্কের জন্যই অত্যন্ত অসম্মানজনক। এই নিদারুণ যন্ত্রণা সহ্য করে একসঙ্গে থাকার মতো কোনও সম্ভাব্য কারণ নেই এখানে।"
আরও পড়ুন: ED: ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন-বিতর্কে মহুয়ার বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে নতুন মামলা ইডির
বিচারপতি সুরেশকুমার কাইত, নীনা বনসল কৃষ্ণের বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেয়। কুণালের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কুণাল। ২০১২ সালে তাঁদের পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। স্ত্রীর থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে যে আবেদন জানান কুণাল, তাতে তিনি জানান, কখনও তাঁর মা-বাবার প্রতি ন্যূনতম সম্মান দেখাননি ওই মহিলা, পদে পদে তাঁকে অপমান করেছেন।
এর পাল্টা, কুণালের প্রাক্তন স্ত্রী জানান, মিথ্যে অভিযোগ এনে আদালতকে বিভ্রান্ত করছেন কুণাল। কুণালের প্রতি একনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ভালবেসে অনেক বার কথা বলার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু লাভ হয়নি। তাঁকে অন্ধকারে রেখে কুণাল বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানিয়েছেন এবং মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
কিন্তু কুণালের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত জানায়, বিবাহিত সম্পর্কে মতবিরোধ না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। কিন্তু সেই মতবিরোধ যদি অসম্মান, অবিবেচকের মতো আচরণ ডেকে আনে, সেক্ষেত্রে বিবাহিত সম্পর্কের পবিত্রতা নষ্ট হয়। বিয়ের দু'বছরের মধ্যেই তারকা শেফ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন কুণাল। এতে বোঝা যায়, তিনি পরিশ্রমী এবং দৃঢ়চেতা। ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে, যা নিষ্ঠুরতা।