নয়া দিল্লি: ভূমিকম্পে (Earthquake) বিধ্বস্ত তুরস্ক (Turkey) ও সিরিয়ায় (Syria) লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের (Death) সংখ্যা। দুই দেশে আহতের সংখ্যা ৪২ হাজারের বেশি। তুরস্ক ও সিরিয়ায় ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার বাড়িঘর ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। স্বজনহারা হাজার হাজার মানুষ। হাসপাতালে তিলধারণের জায়গা নেই। এর পাশাপাশি, হাড়কাঁপানো প্রবল ঠান্ডায় উদ্ধারকাজ চালানো মাঝেমাঝেই অসম্ভব হয়ে পড়ছে। খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাতে হচ্ছে অনেককে। ঠান্ডার কারণে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। 


আর সেখানেই খোঁজ মিলছে না এক ভারতীয়ের। শুধু তাই নয়, সে দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকাতে আটকে রয়েছে আরও ১০ জন ভারতীয়। আজ বুধবার এমনটাই জানাল বিদেশমন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সঞ্জয় বর্মা জানান, অন্তত ১০ জন ভারতীয় নাগরিক তুরস্কের প্রত্যন্ত এলাকায় আটকে পড়েছেন। তবে তাঁরা প্রত্যেকেই আপাতত নিরাপদে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বুধবার জানানো হয়েছে, তুরস্কে নিখোঁজ যুবকের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে সরকার। ওই যুবক কাজের সূত্রে তুরস্কে গিয়েছিলেন।


সোমবার মধ্যরাতে যখন সকলে গভীর নিদ্রায় সেই সময়ই আচমকা কেঁপে ওঠে তুরস্ক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষের পরিস্থিতি। ভোর হতেই তুরস্ক যেন মৃত্যুপুরী। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু ধ্বংসলীলা, নিথর দেহ, রক্তাক্ত শব। তারপরও থামেনি প্রকৃতির রোষানল, পর পর চারবার কেঁপে ওঠে দুই দেশ। ক্রমশ বাড়তে থাকে মৃত্যু।  


আরও পড়ুন, ভূকম্পে মৃত্যুপুরী তুরস্ক-সিরিয়া, 'অপারেশন দোস্ত' পাঠিয়ে সাহায্য ভারতের


সময়ের জন্য অপেক্ষা না করেই দ্রুত বিপর্যয় মোকাবিল দল নামায় তুরস্ক। কিন্তু বরফের ঝড়ের মধ্যে সেই কাজ কিছুটা বিঘ্নিতও হয়। এই পরিস্থিতিতে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেয় পড়শি দেশগুলি। সাহায্য পাঠায় ভারতও। ওষুধ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল সমেত 'অপারেশন দোস্ত' পাঠায় ভারত। বুধবার সে খবর ট্যুইট করে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 


বিদেশমন্ত্রী ট্যুইটে জানিয়েছেন, "আমাদের দেশ বসুদৈব কুটম্বকম নীতিতে বিশ্বাসী। মানুষের পাশে দাঁড়াতে সদাতৎপর ভারত। ভৌগলিক এবং রাজনৈতিক অবস্থান তাঁদের যাই হোক না কেন, ভারতের সঙ্গে সব দেশের সম্পর্ক ঠিক রয়েছ।"


এদিকে,তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরে উদ্ধারকারীরা বলছেন, 'এমন অবস্থা দেখিনি... শিশুরা ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে'। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, "এটি এখন সময়ের বিরুদ্ধে একটি প্রতিযোগিতা।" ডব্লিউএইচও সতর্ক করেছে যে বিশাল ভূমিকম্পে ২৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ।