রাজ্য সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে, বনধের ইস্যুর সঙ্গে সহমত হলেও তারা আগামীকালের বনধ মানবে না। এবার একই পথে হেঁটে কেন্দ্রও জানিয়ে দিল, কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী বনধে যোগ দিলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি দফতরগুলিকে তারা লিখিতভাবে জানিয়েছে, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী কোনও সরকারি কর্মী গণছুটি নেওয়ার মত কোনও ধরনের ধর্মঘটে যোগ দিতে পারেন না। সংগঠন করার অধিকারের মধ্যে বনধ ডাকার অধিকার নেই। আইনে এমন কোনও ছাড় নেই যার ফলে সরকারি কর্মীরা বনধ করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টও বারবার বলেছে, বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও সরকারি কর্মীর বনধে যোগ দেওয়া পুরোপুরি বেআইনি, যদি কোনও কর্মী এই কাজে যুক্ত থাকেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনমত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় নির্দেশ আরও বলছে, সব অফিসারকে অনুরোধ করা হচ্ছে, বনধের দিন তাঁরা যেন কোনও কর্মীকে ক্যাজুয়াল লিভ বা অন্য কোনওভাবে ছুটি অনুমোদন না করেন। যে কর্মীরা কাজ করতে আগ্রহী, কোনওভাবেই তাঁদের যেন অফিসে আসতে আটকানো না হয়। সিআইএসএফকে নজরদারি কড়া করারও নির্দেশ দিয়েছে তারা।
তবে মনে করা হচ্ছে, কালকের বনধে সরকারি ব্যাঙ্কগুলির কাজ ভালরকম ব্যহত হবে। স্তব্ধ হতে পারে বহু ব্যাঙ্কের এটিএম পরিষেবাও। ৮ তারিখের বনধে তাদের কাজকর্মে প্রভাব পড়তে পারে বলে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা, কানাড়া ব্যাঙ্কের মত ব্যাঙ্কগুলি উদ্বেগপ্রকাশ করেছে। ৬০টির মত ছাত্র সংগঠন ও সরকারি কর্মী সংগঠন এই বনধে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ও বাড়তে থাকা ফি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদের উদ্দেশে তাদের এই অবস্থান। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ওপর দুষ্কৃতী হামলার নিন্দা করেছে বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন। তা ছাড়া রেলওয়ের বেসরকারিকরণ, ৪৯টি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সরঞ্জামের ইউনিটকে কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়া ও ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদেও হচ্ছে এই বনধ।
১৭৫টির বেশি কৃষক ও কৃষিকর্মী সংগঠনের মঞ্চ এই বনধ সমর্থন করেছে।