বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের (center) টাকার অপব্যবহার করেছে রাজ্য সরকার (west bengal government), অভিযোগ কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী (Central Minister Of Rural & Panchayati Raj Development) গিরিরাজ সিংহের (Giriraj Singh)। বেআইনিভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজ, সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে। সঙ্গে অবশ্য এও জানালেন, হালে ৮ লক্ষ বাড়ি তৈরিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বচ্ছতা না থাকলে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়, বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সঙ্গে সংযোজন, 'অভিযোগ এলে তদন্ত তো করতেই হবে।' কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বঞ্চনার অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন বেগুসরাইয়ের সাংসদ গিরিরাজ সিংহ।


কী বললেন গিরিরাজ?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, 'কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে দিয়েছে বাংলার সরকার যা আইনত অন্যায়।' এতেই শেষ নয়। গিরিরাজের মতে, ব্যাপক দুর্নীতিও হয়েছে ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনার মতো প্রকল্পে। তাঁর কথায়, 'যাঁর তিন তলা বাড়ি আছে, তাঁকেও আবাস প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা যে ভাবে লুঠ হয়েছে, তা সীমাহীন। মমতার সরকার লুঠের সরকার হয়ে গেছে।' কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে প্রায়ই সরব হতে শোনা যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন কার্যত তার পাল্টা শোনা গেল কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর মুখে। বললেন, 'আমি শুধু স্বচ্ছতা চাই। এখনও পর্যন্ত বাংলার সরকারকে ৮ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে। 'কেন্দ্রের উদ্দেশ্য যদি খারাপই হয়ে থাকে তা হলে টাকা কেন দেবে?' রাজ্য়ে সেন্ট্রাল টিম পাঠানো নিয়েও কম ক্ষোভ প্রকাশ করেননি মুখ্যমন্ত্রী। সে ব্যাপারে গিরিরাজের প্রতিক্রিয়া, 'অভিযোগ এলে তদন্ত করতে হয়। বাংলার মন্ত্রীরা এসে ভালো ভালো কথা বলে গেলেন। অথচ রাজ্যে গিয়ে তাঁদের পরিবর্তন হয়ে যায়। ফের লুঠ শুরু হয়।' মন্ত্রীর স্পষ্ট দাবি, '১০০ দিনের কাজের টাকা লুঠের জন্য নয়, গরিবের জন্য।' রাজ্য়ের মানুষের উদ্দেশে গিরিরাজ সিংহের বার্তা, 'আপনাদের বলছি, গরিবের টাকা দিতে চাই। কিন্তু বাংলার লুঠের সরকারকে কাজ দেখাতে হবে।' বস্তুত, এই নিয়ে মাঝেমধ্যেই তীব্র কেন্দ্র-রাজ্য টানাপড়েন হয়েছে। তার মধ্যেই এই বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। 


আরও পড়ুন:'এই অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন? কী লাভ ?' কোন প্রসঙ্গে বললেন বিচারপতি