নয়াদিল্লি: কেরল সরকার লকডাউন শিথিল করায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্র। কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার লকডাউন শিথিল করার প্রক্রিয়া হিসাবে সোমবার থেকে রেস্তোরাঁ ফের খোলার অনুমতি দিয়েছে, জোড়-বিজোড় সংখ্যার ভিত্তিতে বেসরকারি যানও রাস্তায় নামতে দিয়েছে। কিন্তু এতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া গাইডলাইন অকেজো হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছে নয়াদিল্লি। কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার ১৭ এপ্রিল লকডাউন বিধির সংশোধিত যে গাইডলাইন জারি করেছে, তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের গত ১৫ এপ্রিলের সংশোধিত সার্বিক গাইডলাইনে নিষিদ্ধ কাজকর্ম ফের চালুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্কশপ, সেলুন, রেস্তোরাঁ,বইয়ের দোকান, পুর এলাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, বিভিন্ন শহর, নগরে স্বল্প দূরত্বে বাস চলাচল, চারচাকার গাড়ির পিছনের বসার আসনে দুজন ও স্কুটারের পিছনের গদিতে লোক নিয়ে আসা যাওয়ার মতো অতিরিক্ত কাজকর্মে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দেওয়া গাইডলাইন ও ২০০৫ সালের বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের আওতায় জারি করা ১৫ এপ্রিলের আদেশ লঙ্ঘন করা হয়েছে।
কেরল সরকার গোটা রাজ্যকে রেড, অরেঞ্জ এ, অরেঞ্জ বি ও গ্রিন-এই চার জোনে ভেঙে ধাপে ধাপে ফের স্বাভাবিক জনজীবন চালু করার বিস্তারিত রূপরেখা জারি করেছে। রেড জোনে থাকা চার রাজ্যের মধ্যে হটস্পট এলাকাগুলি পুরোপুরি সিল করা থাকবে। সেখানে কোনও ছাড় মিলবে না। সেখানে বেরনো বা ঢোকার শুধু দুটি পয়েন্ট থাকবে, শুধু অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা চালু রাখার জন্য। অন্য জায়গাগুলিতে জোন অনুসারে জেলার ভিতরেই জোড়়-বেজোড় সংখ্যার গাড়ি চলতে পারবে, সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া চলবে, বাড়িতে সেখান থেকে খাবার নেওয়া যাবে রাত আটটা পর্যন্ত। জেলার অভ্য়ন্তরে স্বল্প দূরত্ব পর্যন্ত বাস চলতে পারবে। তবে সব পরিষেবাই চলবে কঠোর ভাবে সামাজিক দূরত্ব বিধি পালন করে।
কেরল সরকার করোনাসংক্রমণের দাপট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনেছে। প্রতিদিন নতুন সংক্রমণের খবর আসছে খুবই কম। নতুন ভর্তি হওয়া লোকের সংখ্যার তুলনায় বেশি সুস্থ হয়ে বাড়ি যাওয়া লোকের সংখ্যা। গত ৭ দিনে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা মাত্র ৩২, আর একই সময়সীমার মধ্যে ১২৯ জন কোভিড ১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থ বলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোট্টায়ম, ইড্ডুকিকে গ্রিন জোনে রাখা হয়েছে। ফলে সেখানে সোমবার থেকে বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল হয়েছে। গতকাল মাত্র দুটি করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর এসেছে। গতকাল পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৪০১ জন। ১৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।