নয়া দিল্লি : গোটা বিশ্বে এই মুহূর্তে প্রতিদিন ৩.৯ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। মঙ্গলবার এমনই সতর্কবার্তা দিলেন নীতি আয়োগের(স্বাস্থ্য) সদস্য ভি কে পল। এই পরিস্থিতিতে সকলকে হাতে হাত মিলিয়ে এগোতে হবে যাতে তৃতীয় ঢেউ ভারতে আছড়ে না পড়ে। এমনই আহ্বান জানান তিনি।


তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিষ্কার বলেছেন যে, কখন তৃতীয় ঢেউ ভারতে আছড়ে পড়বে তা নিয়ে আলোচনা করার পরিবর্তে আমাদের মূল লক্ষ্য হবে তা আটকানো। 


সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের(স্বাস্থ্য) সদস্য ভি কে পল বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে এই পরিস্থিতিতে এসে ঢিলেমি ভাব দেখালে ব্যাপক হারে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। 


সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি লাভ আগরওয়ালও। তিনি তৃতীয় ঢেউয়ের গুরুতর দিকের কথা তুলে ধরেন। বলেন, প্রত্যেককে বলতে চাই যে যখন আমরা তৃতীয় ঢেউ নিয়ে কথা বলছি আমরা এটাকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস হিসেবে নিচ্ছি। এর গুরুতর দিকটার কথা ভেবে দেখছি না। 


দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোভিড-বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে খবর নিচ্ছে কেন্দ্র, জানান জয়েন্ট সেক্রেটারি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকে মাস্ক না পরার কারণ হিসেবে বলছেন যে এর জেরে তাঁর শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন তাঁরা মাঝেমধ্যে মাস্ক পরেন। তার পর মুখের পাশে বা চিবুকে ঝুলিয়ে রাখেন। কারণ, তাঁদের অস্বস্তি হয়। আবার কেউ কেউ বলছেন যে, তাঁরা শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলেন, তাই তাঁদের মাস্ক পরার কোনও প্রয়োজন নেই। শুধু কি তাই ! অনেকের মতে আবার, মাস্ক করোনা প্রতিরোধই করতে পারে না।


এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে আজ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার দেশজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে সাহায্য করছে। বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে।