রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্কের মালিক এআরজি আউটলাইয়ার মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড। সপ্তাহখানেক আগে তারা তাদের সংস্থা এবং কর্মীদের নিরাপত্তা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এ বিষয়ে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এই পিটিশনের ভবিষ্যৎ নেই। পিটিশনে স্পষ্ট আপনারা চান মহারাষ্ট্র পুলিশ যেন কাউকে গ্রেফতার না করে, সরাসরি যেন সিবিআই-এর হাতে তদন্তভার যায়। মহারাষ্ট্র পুলিশের বিরুদ্ধে সংস্থা অভিযোগ জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, মহারাষ্ট্র পুলিশ সংবাদমাধ্যম, এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী এবং কর্মীদের উপর জোরজুলুম করছে।
চলতি বছর অক্টোবর মাসে হানসা রিসার্চ এজেন্সির নিতিন দেওকর টিআরপি কারচুপির অভিযোগ তোলে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কিছু কেবল অপারেটর এল সি এন ব্যবহার করত। যেখানে একই সময়ে দুটি চ্যানেল দেখা যায়। এমনকি এল সি এন ঠিক করা এবং তার প্রমোশনের জন্য রিপাবলিক টিভি কেবল অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আর এই সব কিছুই জানতেন খানচান্দানি। পুলিশ সূত্রে খবর, হোয়াটসঅ্যাপে এল সি এন নিয়ে আলোচনা করতেন তিনি।
টিআরপির মাধ্যমে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের দর্শক সংখ্যা। পুলিশ সূত্রে খবর, রিপাবলিক টিভি একাধিক বাড়িতে নির্দিষ্ট সময়ে সংশ্লিষ্ট চ্যানেল দেখার জন্য টাকা দিত। রিপাবলিক টিভি ছাড়াও এই তালিকায় আছে আরও বেশ কিছু চ্যানেল। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে রিপাবলিক টিভি।
উল্লেখ্য, এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামীকে বম্বে হাইকোর্টে তোলা হয়। তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। ১৪০০ পাতার চার্জশিটে নাম রয়েছে চ্যানেলের ডিস্ট্রিবিউশন হেড ঘনশ্যাম সিংহের। এদিকে পিটিশন দাখিল করেছেন অর্ণব গোস্বামী এবং এআরজি আউটলাইয়ার মিডিয়া। অভিযোগ, জেল হেফাজতে থাকাকালীন সংস্থার কর্মীদের অত্যাচার করছে পুলিশ।