নয়াদিল্লি: পরিযায়ী শ্রমিকদের স্পেশাল ট্রেনে নিজ নিজ রাজ্যে ফেরানোর কর্মসূচির আওতায় বিহারে ফিরেছেন ২৮-২৯ লক্ষ মানুষ। ফেরার পর নিয়মমাফিক ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে থাকার পর ৮.৭৭ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আজকের দিন পর্যন্ত রাজ্যব্যাপী ব্লক ও জেলাস্তরের কোয়ারান্টিন সেন্টারে আছেন বাইরে থেকে ফেরা সাড়ে ৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। অনেকে হোম কোয়ারান্টিনেও আছেন। বিহারের রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ‘অবাঞ্ছিত গর্ভ’ এড়াতে এঁদের সবাইকে নিখরচায় কনডোম বিলি করছে বলে জানা গিয়েছে।
এক পদস্থ স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিন কাটিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরছেন। তাঁদের কারও কারও অবাঞ্ছিত গর্ভবতী হয়ে পড়ার সম্ভাবনা মাথায় রেখে আমরা সঠিক কাউন্সেলিং করিয়েছি, অবাঞ্ছিত মাতৃত্ব এড়ানোর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র (কনডোম) দিচ্ছি। স্টেট হেলথ সোসাইটির পরিবার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ওই কর্তা পরিষ্কার বলেছেন, এটা পুরোপুরি ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের ব্যবস্থা, এর সঙ্গে কোভিড-১৯ এর কোনও সম্পর্কই নেই। একজন স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত পেশাদার কর্মী হিসাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের দায়িত্ব। এই উদ্যোগ রূপায়ণে আমাদের শরিক কেয়ার ইন্ডিয়ার সাহায্য নিচ্ছি আমরা।
তিনি আরও জানান, গোটা দুনিয়া থেকেই অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণের খবর এসেছে। সেই প্রেক্ষাপটেই এমন পদক্ষেপ। কোয়ারান্টিন কেন্দ্রগুলি বন্ধ হওয়া পর্যন্ত তা চলবে। ১৫ জুন নাগাদ বিহারে কোয়ারান্টিন কেন্দ্রগুলি সম্ভবত বন্ধ হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
কোয়ারান্টিন সেন্টারগুলিতে দু প্যাকেট করে কনডোম বিলি করছেন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কোঅর্ডিনেটররা। হোম কোয়ারান্টিনে থাকা লোকজনের বাড়ির দরজায় দরজায় গিয়ে কনডোম দিচ্ছেন আশা কর্মীরা। আমরা স্বাস্থ্য দপ্তরের এই উদ্যোগে টেকনিকাল সহায়তা দিচ্ছি বলে জানিয়েছেন এনজিও কেয়ার ইন্ডিয়ার এক কর্তা।